জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। কোথাও শান্তি নেই। সর্বত্র মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। দেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ১৫-২৯ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী দাওয়াতি পক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, ঘরে থাকলে খুন আর রাস্তায় বের হলে হয় গুম। মায়ের কোলের শিশুও আজ নিরাপদ নয়। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদীরা নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমার প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা নিয়ে আমরা আজ উদ্বিগ্ন। গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হওয়ার জন্য লাখো মানুষ জীবন দেয়নি। আজ আমার দেশের সীমানা অরক্ষিত। সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের বিএসএফ গুল করে হত্যা করলেও বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। একটি স্বাধীন দেশে এমন নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেওয়া যায় না।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আক্ষরিক অর্থেই রক্তে কেনা। কথা ছিল, দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। বৈষম্য দূর হবে। দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠন হবে। এ দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিঃসৃত শাসনতন্ত্র হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখা গেল, রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে কোনো ধরনের জনমত যাচাই না করেই ভিনদেশিদের অন্ধ অনুসরণ করা হলো। সরকার পদ্ধতি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, অর্থনীতি নিয়ে মস্কো-ওয়াশিংটন দোলাচালে ব্যাহত হলো দেশগঠন। ফলে রাষ্ট্রের বিকাশ হুমকির মুখে পড়ল। শিল্প বিকাশ থমকে গেল। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ল। রাজনীতি হয়ে পড়ল আদর্শহীন, পেশীশক্তি ও কালো টাকানির্ভর।
তিনি আরও বলেন, আমরা ’৭১ কে ধারণ করি। অসহায়, মজলুম ও গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করি এবং এ দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও ইসলাম নিঃসৃত নীতিতে নারীর উন্নয়ন ও মুক্তির আন্দোলন করি। দেশের সকল ধর্মের ও বিশ্বাসের মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকি। আমরা সংঘাত নয়: বরং শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করি। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। খেদমতে খালকের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনের চেষ্টা করি। আমরা শুধু ক্ষমতা অর্জনকেই মুখ্য মনে না করে নীতির পরিবর্তনে কাজ করি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আবুল কাশেম, আলতাফ হোসেন, ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।