নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তীব্র অপুষ্টির শিকার সাড়ে চার লাখ শিশু। এদের মধ্যে জন্ম থেকেই অনেকে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া প্রায় দুই কোটি শিশু ভুগছে মাঝারি মাত্রার অপুষ্টিতে।
এরকম অনেক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছে আইসিডিডিআরবি। সংস্থাটি সূত্রে আরও জানা গেছে, চারটি খাদ্য উপাদান দিয়ে, শিশুদের উপযোগী একটি খাবার তৈরী করেছেন, আইসিডিডিআরবির গবেষকরা। এই খাবার শিশুদের অপুষ্টি রোধে ভূমিকা রাখবে। যা সম্পূরক হিসেবে, ৬ মাস বয়সের পর শিশুদের দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে একে বলা হচ্ছে এমডিসিএফ। এখন চলছে খাবারটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ফলাফল পেতে লাগবে, ১ বছরের বেশি। এই খাবার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা গবেষকদের।
আইসিডিডিআরবি’র তথ্য মতে, বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন। অপুষ্টির শিকার অনেক শিশুই পরবর্তিতে পর্যাপ্ত খাদ্যগ্রহণ করলেও সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এরফলে তাদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটেনা। এছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে। তাদের আন্ত্রিক জীবাণু বা গাট মাইক্রোব অপরিপক্ক থাকার ফলে এমন ঘটে। আর এই খাদ্য উপাদান কীভাবে কাজ করছে তা নিয়ে চলছে গবেষণা চলছে।
আইসিডিডিআরবি’র নিউট্রেশন ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক তাহমিদ আহমেদ বলেন, শিশুদের অন্ত্রের মধ্যে কিছু কিছু জীবানু আছে যেটা নাকি শিশু পুষ্টির জন্য সহায়ক। ছোলা, বাদাম, বাদামের গুড়া, সয়াবিনের আটা, কাঁচা কলা এই কয়েকটা খাদ্য উপাদানের মধ্যে এমন জিনিস আছে যেটা সেই সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার জন্য খুবই ভাল। এতা হালুয়ার মত করা হয়, যার মধ্যে থাকে কিছু চিনি, তেল থাকে যা শিশুদের জন্য টেস্টি এবং কিছু এনার্জির যোগান দেয়। এই খাবারগুলো হচ্ছে সম্পূরক খাবার। এই খাবার অবশ্যই শিশুদের ৬ মাসে পর দিতে হবে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফরি গর্ডন এবং আইসিডিডিআরবি,বির নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এই গবেষণা পরিচালনা করে আসছেন। সাথে আছেন দেশের একদল গবেষক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।