জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যানবাহনে কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ ও তেল-পেট্রোল বাহিত জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। তাই পরিবেশ দূষণ রোধে এই গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন উদ্যোক্তরা ও এই খাতের সংশ্লিষ্টরা।
এই প্রেক্ষাপটে গাড়ির উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তারা বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন।
এসব সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে: গাড়ির বডি, ব্যাটারি ও চার্জারসহ কারখানা নির্মাণের জন্য বড় পরিসরে জায়গার ব্যবস্থা করা, এর বিকাশে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমাদনী বন্ধ করা, ‘অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২০-’ এ সড়ক ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্তিকরণ, মহাসড়কে বা রাস্তার সিএনজি স্টেশনের পাশে গাড়ির চার্জার স্টেশন স্থাপনের জন্য পৃথক জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া, গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহের শক্তিশালী সংযোগ শিল্প স্থাপন, আইন ও নীতিমাল আরও স্পষ্ট ও সহজকরণ ইত্যাদি।
আজ (১০ ফেব্রয়ারি) অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এক সভায় উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে এই সুপারিশসমূহ উঠে আসে।
দেশের বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স ও গেøাবাল স্ট্র্যাটেজিক কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান রিকার্ডো যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ও সিনিয়র বিজনেস কনসালট্যান্ট মিহাদ উল হক। রিকার্ডোর কর্মসূচি সমন্বয়ক মাতে আন্তোসিক এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেন।
তিনি তাঁর বিশ্লেষণী তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু করা ও বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং ঝুঁকিগুলিকে বিশেষভাবে নির্দেশ করার জন্য বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসার সম্ভাবনা জরিপ তুলে ধরতে মোট ৩০টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজকে কেইস স্টাডি হিসেবে নেওয়া হয়।
এর মধ্য থেকে অ্যাডভান্সড ডায়নামিক্স, জোবাইক, ঢাকাকাস্ট, লিলি এবং এসওএলশেয়ার এই পাঁচটি সম্ভাব্য স্টার্টআপ -তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে। এ সকল স্টার্টআপগুলির পক্ষ থেকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা, দেশব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এবং সুবিধাগুলি উপস্থাপন করা হয়। এতে উদ্যোক্তারা দ‚ষণ কমাতে এবং একটি সবুজ ব্যবসায়িক মডেল গ্রহণে অংশ নিতে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করে।
কেইস স্টাডির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যথেষ্ঠ। তবে এইক্ষেত্রে উল্লিখিত চ্যালেঞ্জসমূহ আছে। এর পাশাপাশি আইন কানুনসমূহ এখনও অস্পষ্ট। এছাড়া ঝামেলা ও নানা নিয়ম নীতির কারণে ঋণের জন্য আবেদন করার সময় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
স্বাগত বক্তব্যে লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভদাদ আহমেদ খান মজলিশ বলেন, “আমরা শুধু ইউরোপীয় দেশগুলিতে নয়, এশিয়াতেও বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থান দেখেছি। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ শিগগিরই এই সবুজ বিপ্লবে যোগ দেবে।”
বক্তারা- স্থানীয়ভাবে এই শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিকাশে জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানী বন্ধের জোর সুপারিশ করেন। অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রিকার্ডোর এনালিস্ট কনসালট্যান্ট আন্না ওলফ, ঢাকা কাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহরিন হান্নান, এডভান্স ডায়নামিক্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তৌসিফ আনোয়ার, লিলির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ সাইফ প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।