জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যানসারে ৬ হাজার ৭৮৩ জন নারী মারা যান। আক্রান্ত হন ১৩ হাজারেরও বেশি।
গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘সিএমই অন ব্রেস্ট ইমেজিং অ্যান্ড ইন্টারভেনশন’ শীর্ষক স্তন ক্যানসার বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সচেতন হলে স্তন ক্যানসার নিরাময় করা সম্ভব জানিয়ে সেমিনারে বক্তারা বলেন, ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যামোগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্তন ক্যানসার সম্ভবত খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাবও হতে পারে। বর্তমানে সচেতনা ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং বাড়ার কারণে সমস্যাটি সবার সামনে আসছে। এক্ষেত্রে রেডিওলজি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীজানুর রহমান, এসএইচআইবিপিএসের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজা, এসএইচআইবিপিএস সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিদুরা তানিম, বারডেমের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ইয়াসমিন, বিএসএমএমইউ’র রেডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা আলম, ভারতের কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালের (কেএমসিএইচ) রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কনসাল্ট্যাসন্ট ডা. রুপা রাঙ্গানাথ।
একই সঙ্গে সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন বিএসএমএমইউ’র মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা জোহরা।
অনুষ্ঠানে প্যানেল অব এক্সপার্ট অংশ নেন বিএসএমএমইউ’র রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন আল আজাদ, ক্লিনিকাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল বারী, মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, বারডেম হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ তাহের, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহারা হক জেরিন। সূত্র : বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।