স্পোর্টস ডেস্ক : বিমানের টিকিট না পাওয়ায় বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে দেশে ফেরা হচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেটারদের। কোহলিদের এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না কেউ। বিশ্বকাপের পরই রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তা ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে।
আগামীকাল ১৪ জুলাই রবিবার ফাইনালের পরই কয়েকটি ভাগে দেশে ফিরবেন ভারতীয় দলের, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও তাদের পরিবার। ফিরেই কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটসের্র সামনে হাজিরা দিতে হবে কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
এদিকে সিওএর প্রধান বিনোদ রাই পিটিআইকে বলেন, ‘ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান সবে শেষ হয়েছে। কোচ ও অধিনায়ক দেশে ফিরলেই আমরা রিভিউ মিটিংয়ে বসব। আমি এখনই কোনো দিন-ক্ষণ জানাতে পারছি না তবে আমরা কথা বলব। এ ছাড়া নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও কথা বলব পরবর্তী রোডম্যাপ ঠিক করার জন্য। যেটা আমি এখন আপনাদের জানাতে পারব না।’
জানা গেছে, বিশ্বকাপে হারের বিষয়ে কোহলি-শাস্ত্রীকে জেরার মুখে পড়তে হবে। তার মধ্যে উঠে আসতে পারে অম্বাতি রায়ডুর বিষয়টিও। রায়ডুকে রিজার্ভে রাখা হয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত তাকেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চার নম্বর ধরা হচ্ছিল। এমনটা বলেওছিলেন বিরাট কোহলি।
কিন্তু বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে তাকে রাখা হয়নি। শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শঙ্কর চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও রায়ডুকে ডাকা হয়নি। এর পর হতাশায় অবসর ঘোষণা করে দেন তিনি।
তাছাড়া আরও বড় বিষয় উঠে আসতে পারে এই আলোচনায় তা হল এক দলে তিন জন উইকেট কিপারকে রাখা। বিশেষ করে দীনেশ কার্তিককে রেখে একটা জায়গা নষ্ট করার কী মানে ছিল। যিনি দীর্ঘদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
তবে বিকল্প হিসেবে পরে দলে যোগ দেন ঋষভ পন্থ। তারপর তো প্রথম একাদশে তিন জন উইকেট কিপারকে খেলতে দেখা যায়। মহেন্দ্র সিং ধোনি তো ছিলেনই।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে ধোনির ব্যাটিং পজিশন নিয়েও। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ধোনিকে একটা ফিক্সড জায়গায় খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যানচেস্টারে সেমিফাইনালে ধোনিকে নামানো হয়েছিল সাত নম্বরে।
যখন দলের টপ অর্ডার কোনও ভরসা দিতে পারেননি তখন কেন ধোনি এত পরে? প্রশ্ন তুলেছিলেন সমর্থকরাই। তাছাড়া জানা গেছে, দল নির্বাচনে বাকি দুই নির্বাচক সরণদীপ সিং ও দেবাং গান্ধীর তেমন কোনো ভূমিকাই ছিল না। সুতরাং কঠিন প্রশ্নের সামনেই পড়তে হবে কোহলি-শাস্ত্রীকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।