দেশ ছাড়তে চান সালমান মুক্তাদির

বিনোদন ডেস্ক : বিতর্কিত ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির দেশ ছাড়তে প্রস্তুত। গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে সালমান মুক্তারিদ তার ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে সালমান বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ আর হাতাশা প্রকাশ করেছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, ফ্লাইওভার ও জিডিপি বৃদ্ধি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

ইংরেজিতে লেখা স্ট্যাটাসে সালমান মুক্তাদির বলেছেন, আমি একটা কথা কখনো জনসম্মুখে বলিনি। আমার অনেক ক্লোজ যারা শুধু তারা জানে। কিন্তু আমি মনে করি, এটি এখন আর কিছু যায় আসে না। এটি সম্পর্কে আর কোনো লুকানোর বা ব্যাখ্যা দেয়ার কিছু নেই।

সালমান মুক্তাদির বলেন, ‘আমি ঘৃণা করি, বাংলাদেশ কিভাবে এমন হয়। এখানে কোনো আসা দেখি না। মানুষ অকারণে আবেগপ্রবণ। আমরা অন্ধভাবে মনগড়া ধর্মী ও সাংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, যা ধর্ম কখনো বলে না।’

সালমান মুক্তাদির লিখেছেন, ‘রাজধানী ঢাকা ঘৃণা আর নেতিবাচকতায় ভরে যাচ্ছে। আমি বলতে পারি, অন্যান্য শহরও কেমন ভয়ঙ্কর। আপনি চিন্তা করতে পারেন, একটি জাতি কিভাবে লাখ লাখ ভণ্ড ও ঘৃণ্য মানুষে ভরে যায়?’

এসব কথা বলার কারণে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হতে পারে এমন মন্তব্য করে সালমান মুক্তাদির লিখেছেন, ‘আমি যদি এসব পছন্দ না করি তাহলে আমাকে দেশ ছাড়তে বলা হবে। কিন্তু আমি কসম করছি, আমি দেশ ছাড়তে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘মানসিক বা ভৌত উন্নয়ন নিয়ে আমার কোনো আশা নেই। আমরা এখনো মনে করি, কিছু ফ্লাইওভারই উন্নয়ন। আমরা এখনো জিডিপি বৃদ্ধিকে স্বপ্ন মনে করাছি।’

সালমান লিখেছেন, ‘আমি ২১ বছর বয়স থেকে জনসমাগমকে (ম্যাস ক্রাউড) ঘৃণা করি। আমার এই বক্তব্য হয়তো আপনাকে রাগান্বিত করবে। কিন্তু এটি লিখে রাখুন এটিই সত্য।’

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সালমান মুক্তাদির লিখেছেন, আমরা এমন একটা জাতি, যা অনিরাপদ যৌন হতাশাগ্রস্ত প্রাণহীন প্রাণীতে (insecure sexually frustrated lifeless animals) ভরে গেছে।

তবে সালমান মুক্তাদিরের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বহু ফেসবুক ব্যবহারকারী।

মোদাচ্ছের মুনাওয়ার রাজগির নামের নামের একজন লিখেছেন, ‘ভালো, আপনি যেহেতু আশা হারিয়েছেন, তাহলে আপনি দেশ ছাড়েন। এবং অন্য দেশে চলে যান, যেখানে মানুষ আবেগপ্রবণ না।’

আরিয়ান শিহাব নামে একজন লিখেছেন, ‘তাহলে আপনি কেন এই দেশে অবস্থান করছেন? বাংলাদেশ থেকে আপনি দূরে চলে যান। এই দেশ আপনার মতো মানুষের জন্য না।’