জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথম দেখে যে কেউ ভাববেন বেগুন গাছে বুঝি লাউ ধরেছে। কিন্তু না। কাছে গিয়ে মনযোগ দিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন এগুলো বেগুন। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের লাউর মত দেখতে এই বেগুন ফলিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের শান্তির হাট গ্রামের কৃষক মো. সেলিম। তার ক্ষেতের বিশাল আকারের বেগুন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে “লাউবেগুন”।
সেলিম জানান, তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে কৃষি কাজ করছেন। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ৬৫ শতাংশ জমিতে বেগুন, টমেটো, শষা, ফুল কপি, বাধা কপি চাষ করেন। এবছর কৃষি অফিস থেকে তাকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ এবং সার দেয়া হয়। তিনি মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ওই বেগুন চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। তিন মাসের মধ্যে বেগুন চলে আসে। বেগুনের আকার দেখেতো অবাক। এক একটি বেগুন এক থেকে দেড় কেজি। কোন কোনটি দুই কেজি পর্যন্ত হয়েছে।
সেলিম জানান, ৩ মাস ১০ দিনের মধ্যে বেগুনগুলো ১ কেজি আর কোনো কোনোটি দেড় কেজি আবার কোনটি ২ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। প্রথম দিন বেগুন তুলে বাজারে নেওয়ার পর ভিড় জমে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকাররা কিনে নেয়। এখন ৪০/৪৫ টাকা দরে পাইকারী বাজারে বিকি হচ্ছে।
তিনি জানান, ২০ শতাংশ জমিতে দুই হাজার টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে এখনও যে পরিমাণ বেগুন রয়েছে তাতে আরো ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দীন জানান, ভোলায় এ বছরই প্রথম উচ্চ ফলনশীল বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করার জন্য কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। অত্যন্ত ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। এতে অন্যান্য কৃষকরাও নতুন এই জাতের বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।