জুমবাংলা ডেস্ক : সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেয়া দামে জিনিসপত্র কেনার অভিজ্ঞতার কথা অনেক পাঠক তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷
পুরান ঢাকার বন্ধু ইমাম হোসেন ইমন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘৫৮০/ একদাম, নিলে নেন, না নিলে যান, রোজা রাইখা বেশি কথা কইতে ভালো লাগে না৷–এই হচ্ছে আমাদের পুরান ঢাকার গরুর মাংসেরদোকানদারদের ভাষ্য৷”
‘‘আমি কিনতে গিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেয়া দাম বলায়, দোকানদার আমাকে মাংস না দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছ থেকে মাংস নিতে বলেছেন৷” অভিজ্ঞতা পাঠক মহিন উদ্দিনের৷
আর উত্তরার বন্ধু প্রিন্স আহমেদ তাঁর এলাকা থেকে গতকাল বিকেলে ৬০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কেনার কথা জানিয়েছেন৷
‘‘আমেরিকার মতো দেশে গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়৷ সে দেশে মানুষ ঘণ্টায় ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা ইনকাম করে৷ আর আমাদের দেশে (গরুর মাংসের দাম) ৫২৫ টাকা, ভাবতেও অবাক লাগে৷”এই মন্তব্য পাঠক আব্দুল কাদিরের৷
ডয়চে ভেলেকে শুক্রাবাদের চা দোকানদার জামাল হোসেন বলছেন, ‘‘সিটি কর্পোরেশনের দামে মাংস চাইলে দোকানদাররা ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেবে৷” ফেসবুকে পাঠক আফনান খান লিখেছেন, গতকাল তিনি ৬০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন৷ আর জাহিদ হাসান কিনেছেন ৫৮০ টাকায়৷
মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন গরুর মাংস খাওয়াই ছেড়ে দেবেন বলে ঠিক করেছেন৷
সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেয়া দাম সম্পর্কে ডয়চে ভেলের পাঠক জহুরুল হক জায়েদের মন্তব্য, ‘‘ওটা শুধু কাগজে-কলমে৷ এ ব্যাপারে কোনো ফাটাকেষ্টর সন্ধান পাওয়া যাবে না৷ এমপি, মন্ত্রীরা চাইলেই সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ কারণ, ব্যবসায়ীদের জনগণের চাইতে তাদের প্রয়োজন বেশি৷”
এ বিষয়ে পাঠক রওশন হাবিবও প্রায় একমত৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক বক্তব্য৷ বাংলাদেশে বাস্তবতার সাথে রাজনৈতিক বক্তব্যের মিল খুঁজতে যাবেন না৷”
পাঠক গোলাম ফারুক মনে করেন, ‘‘এসব অভিজ্ঞতার কথা শোনার মতো কেউ নেই৷ মিডিয়া এবং বাজারের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে, রমজানের আগে দফায় দফায় নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে৷ অথচ মন্ত্রী ও দোকানদাররা বলছেন, রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না৷ এটা তো মানুষের সাথে মস্করা করা হচ্ছে৷ আর সিটি কর্পোরেশনের দামের চার্ট ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার আগে ঝোলায়, চলে যাওয়ার সাথে সাথে নামিয়ে ফেলে বা মুছে ফেলে৷”
‘‘ওরা বাঘের মতো খাঁচায় থেকে হম্বিতম্বি করে, বাজার মনিটরিং করে না,” মন্তব্য নুরুল হক সরকারের৷
‘‘আমাদের দেশে সকল ক্ষেত্রে আইন আছে, শুধু আইনের প্রয়োগ নেই৷ তবে শত্রু ও বিরোধী দলের ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় প্রয়োগ আছে,” এই মন্তব্য নেওয়াজ মামুনের৷
‘‘এসব ফাও কথার জন্যই রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি মানুষের আস্থা উঠে গেছে৷ ব্যবসায়ী আর শ্রমিক নেতাদের সাথে এ দেশের সরকার কখনোই পেরে উঠেনি৷ কারণ, এ দেশে রাজনীতি করতে পেশিশক্তি ও ডোনেশনের দরকার পড়ে আর জনগণ হলো হরিদাস পাল,” পাঠক মাহমুদুর রহমান এমনটা মনে করেন৷
তবে এবার রমজানের আগে সিটি কর্পোরেশন দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পাঠক সালেক মোহাম্মদ লিখেছেন,‘‘এরকম সুন্দর, বস্তুনিষ্ঠ এবং বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনের জন্য ডয়চে ভেলেকে অনেক ধন্যবাদ৷’
সূত্র : ডয়চে ভেলে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।