আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্রেফ দুর্গন্ধ নয়, দোতলা থেকে নেমে আসা পাইপ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে রক্ত! সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
হাওড়ার লিলুয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সম্পর্কে তাঁরা বাবা, মা ও মেয়ে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তিন-চার দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।পাশে পরে আছে রক্তমাখা একটি হাতুড়িও। জানা গিয়েছে, লিলুয়ার বেলগাছিয়া রোডে স্ত্রী দেবযানী ও একমাত্র মেয়ে সম্রাজ্ঞী-কে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ দাস। পেশায় তিনি ছিলেন গ্যাসের ব্যবসায়ী। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই পরিবারের কাউকেই এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীদের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষবার অভিজিৎকে দেখতে পেয়েছিলেন। এমনকী, বুধবার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ওই ব্যবসায়ীর কর্মীরা। কারণ, ফোন সুইচড অফ ছিল!
প্রতিবেশীরা জানায়, লকডাউন পর্বে তাঁর ব্যবসা ভাল চলছিল না। তার জেরে আর্থিক অনটন দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্যও দেখা দেয়। অভিজিত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেই প্রাথমিক ভাবে আঁচ করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ মনে করছে, স্ত্রী এবং মেয়েকে হাতুড়ি মেরে খুন করেছেন অভিজিৎ। তার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁকে শেষ বার প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ব্যবসায়ী অভিজিতের কর্মীরা গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ অভিজিতের ফোন বন্ধ ছিল। অভিজিতের শ্বশুরবাড়ি পাশের পাড়াতেই। অভিজিতের শ্বশুর মৃত্যুঞ্জয় মিত্রের প্রতিক্রিয়া, মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে। তার পর থেকে ওদের আর ফোনে পাইনি। আমার মেয়ে অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য আমিই টাকা দিয়েছিলাম। কী করে কী হয়ে গেল জানি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।