জুমবাংলা ডেস্ক: বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পুরনো ঘড়ির বাজারে দাম কমেছে প্যাটেক ফিলিপ, রোলেক্স ও অডেমার্স পিগুয়েট ব্র্যান্ডের ঘড়ির। এপ্রিলে শুরু হওয়া দামের এ নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ওয়াচচার্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যাটেক ফিলিপ ও রোলেক্সের ঘড়ির দাম কমেছে ৮ শতাংশ। পাশাপাশি অডেমার্স পিগুয়েট ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম কমে গিয়েছে ৭ শতাংশ।
তাছাড়া ব্র্যান্ডগুলো বাজারও হারিয়েছে। এপ্রিল থেকে পুরনো ঘড়ির বাজারে এ ব্র্যান্ডগুলোর দাম কমতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে রোলেক্স অয়েস্টার পারপেচুয়াল ফ্যামিলি থেকে বন্ধ হওয়া মডেল যথাক্রমে প্যাটেক ফিলিপের নীল ডায়ালের নটিলাস ৫৭১১/১এ-০১০ এবং অডেমার্স পিগুয়েটের ক্ল্যাসিক নীল ডায়ালের রয়েল ওক ১৫২০২এসটি।
তবে মরগান স্ট্যানলির প্রতিবেদনে ওই মডেলগুলোর দাম বৃদ্ধি ও পতনের বিষয়টি এককভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন রোলেক্স কসমোগ্রাফ ডেটোনা ১১৬৫০০এলএনের দাম ৩১ শতাংশ কমে ৩২ হাজার ৬০০ ডলারে নেমেছে। এর আগে ঘড়িটি ৪৭ হাজার ৪০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। অনুমোদিত ডিলারের কাছে যা পুরনো বাজারমূল্যের দ্বিগুণেরও বেশি।
কালো ডায়ালের অডেমার্স পিগুয়েট রয়েল ওকের, যা এখনো বাজারে রয়েছে, দাম ৬৯ হাজার ১০০ ডলার। এটি খুচরা বাজারমূল্যের প্রায় তিন গুণ। সেপ্টেম্বরের শেষে অবশ্য দাম কমে ৫০ হাজার ৫০০ ডলারে নেমেছে।
অন্যদিকে দাম বেড়েছে কম মূল্যের ব্র্যান্ডের ঘড়ির। সম্প্রতি জিরার্ড পেরেগাক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। মূলত লরেটো রেঞ্জের জনপ্রিয়তার জন্য পুরনো বাজারে দাম বেড়েছে এটির। আ ল্যাঙ্গে অ্যান্ড জোনার দাম ৩ শতাংশ ও বুলগেরি মডেলের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে।
বছরজুড়েই ব্রেসলেটযুক্ত অভিজাত স্পোর্টি মডেলের ঘড়ির চাহিদা ঊর্ধ্বগামী ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুতে মূল্য বেড়েছে প্যাটেক ফিলিপ নটিলাস, অডেমার্স পিগুয়েটের রয়েল ওক এবং ভ্যাচেরন কনস্টান্টিন’স ওভারসিজের। এক বছর আগে যখন পুরনো বাজারে দাম বেড়ে যায় তখন তিনটি ব্র্যান্ডের ঘড়িই বছরজুড়ে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে ভালো বিক্রি করে।
বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জিরার্ড পেরেগাও এবং ল্যাঞ্জের ওডিসিয়াস ব্র্যান্ডের ঘড়ির বিক্রি ভালো হয়েছে। উভয় ব্র্যান্ডের ঘড়ির মূল্য যথাক্রমে ৩৩ ও ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
মরগান স্ট্যানলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রান্তিক পর্যন্ত দামের পতন অব্যাহত থাকবে। তবে বড় ধরনের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। এক্ষেত্রে মূলত তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় সব শ্রেণীর সম্পদের দাম কমলেও সেকেন্ড হ্যান্ড ঘড়ির দামের পতন সে তুলনায় কম। দ্বিতীয়ত, নতুন ঘড়ির দামের তুলনায় সেকেন্ড হ্যান্ড ঘড়ির দাম তুলনামূলক ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তৃতীয়ত, সরবরাহের নাটকীয় বৃদ্ধি বিবেচনা করে দামের সংকোচন অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে—এ কারণে চাহিদা এখনো ভালো অবস্থানে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।