জুমবাংলা ডেস্ক: ভালোবাসার টানে ধর্মান্তরিত হয়ে কিশোরীকে বিয়ে করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রেম কুমার নামে এক যুবক। সেই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। খবর ইউএনবি’র।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে। প্রেম কুমার পাশের জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামের দিগন্ত কুমারের ছেলে।
এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রী কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
তিনি জানান, তাদের বাড়ির পাশে প্রেম কুমারের নানার বাড়ি। সে সুবাদে তার মেয়ের সাথে প্রেম কুমারের পরিচয় হয়। ‘সে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছে। এ জন্য আমি ২৪ অক্টোবর প্রেম কুমার, তার বাবা, মামা ও মামাতো ভাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় অভিযোগ করি।’
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই আনোয়ার হোসেন অভিযান চালিয়ে ওই যুবক ও কিশোরীকে দিগন্ত কুমারের বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রেম কুমার জানান, কিছু দিন যাবত তার সাথে ওই কিশোরীর মন দেয়া নেয়া চলছিল। এরই জেরে ওই কিশোরী তার হাত ধরে বের হয়ে আসে। পরে প্রেম কুমার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার নাম আব্দুর রহমান। তিনি চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
ওই কিশোরী ও প্রেম কুমার দাবি করেন, তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। দুজনে নিজেদের সম্মতিতে বিয়ে করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানা এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওই কিশোরীকে শেরপুর আদালতে নিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। সেই সাথে জেলা সদর হাসপাতালে তার মেডিকেল পরীক্ষার পর বয়স নির্ধারণের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রেম কুমারের সাথে ঘর করবে বলে জানিয়েছে। সে তার বাবা-মায়ের সাথে যেতে চায় না। তবে আদালতে মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে সে কোথায় যাবে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel