জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুকে ধর্ষণ এবং বিচারহীনতা নিয়ে পোস্ট দেয়ায় গণধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। হুমকিদাতা হাসান আল মামুন নিজেকে মাগুরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আলিফ লাইলা জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নন। দেশে একের পর এক হওয়া ধর্ষণের ঘটনা এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু এসকল পোস্টের জেরেই তাকেসহ তার মা এবং দুই বোনকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকি প্রদানকারী ফেসবুকের মেসেঞ্জারে আলিফ লায়লাকে সোমবার (১২ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ১ টার দিকে এ হুমকি প্রদান করেছেন।
হুমকি প্রদানকারী মামুন দাবি করেন তাদের হাজার হাজার কর্মী বাহিনী রয়েছে এবং আলিফ লায়লার ক্ষতি করতে তাদের ১ সেকেন্ড প্রয়োজন। এসময় হুমকি প্রদানকারী নিজেকে “মুক্তা ভাই” নামে একজনের কর্মী হিসেবে দাবি করেন এবং বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বলেন, রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় অনেকেই তাকে চেনে, তার নাম জানে কিন্তু তিনি হয়ত তাদের সবাইকে চেনেন না। হতে পারে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ তার নাম ব্যবহার করেছে। তবে তিনি বিষয়টি জানার পরেই এই ফেসবুক আইডির বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি মনে করি ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে যেহেতু আমাদের নাম জড়ানো হয়েছে তাই আমি চাই এই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে জানা হোক প্রকৃতপক্ষেই আমরা জড়িত কিনা এবং এধরণের ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক। এছাড়া বশেমুরবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী হিসেবে চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবো। সে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ল সেল এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল সমন্বিতভাবে কাজ করবো এবং বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এ ঘটনা মাগুরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। তবে তিনি লিখিত অভিযোগ না নিয়ে পরে কোনো সমস্যা হলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া আলিফ লায়লা জানিয়েছেন আগামীকাল তিনি এ ঘটনায় জিডি করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।