আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আমি আছি’- শব্দে ভরসা রাখা যায়, রাখেনও অনেকে। কিন্তু, শব্দের উপর শব্দের সংযোজন- “আমি ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত! দয়া করে আত্মহত্যা করবেন না!” এই শব্দগুলি এক নেটনাগরিকের। হাতে সাদা পাতায় কালো টাইপ করা শব্দগুলিকে ‘বুকের মাঝে’ ঠাঁই করে দিয়ে দাঁড়িয়ে এক যুবক। চোখ-মুখের অভিব্যক্তি অস্পষ্ট। এই ছবি পোস্ট করে অপর এক নেটিজেন লিখেছেন ,” এটার জন্য প্রস্তুত।”
এই পোস্টার সামনে আসার পরেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। কেউ কেউ পোস্টদাতার তুলোধনা করে সাফ জবাব দিচ্ছেন- ‘লাইফ ইজ নট ওনলি অ্যাবাউট ম্যারেজ’ (জীবন শুধু বিয়েতেই সীমিত নয়)। অন্যদিকে, নেটপাড়ার অপর মহলের যুক্তি ওই যুবক শুধুমাত্র মানসিকভাবে নির্যাতিতাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।
ফাইভ জি-র দুনিয়াতেও নারীদের উপর অত্যাচার ‘বিলুপ্ত ঘটনা’ নয়। যদিও মনের দরজা-জানলা খুলে হাওয়া চলাচল করতে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আজকের ‘নির্ভয়া’-দের তাই যোদ্ধা বলেন অনেকেই, পাশে থাকেন, পাশ কাটিয়ে যান না। এই পোস্টে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নির্যাতিতাদের হাত ধরা আজও কি ‘স্বাভাবিক’ নয়?
এই পোস্টের পক্ষে নেটিজেনদের একাংশ যুক্তি সাজাচ্ছেন, “দয়া করে পোস্টের ভিত্তিতে এই যুবককে বিচার করবেন না। নিজের মতো করে নির্যাতিতাদের মানসিকভাবে সাহায্য করতে এই পোস্ট দিয়েছেন যুবক। অনেকেই নিগ্রহের শিকার হওয়া মহিলাকে বোঝা ভাবে। এক্ষেত্রে ঘটনাটা তা নয়। যুবক নির্যাতিতাদের খোলা মনে গ্রহণ করার বার্তা দিচ্ছেন।” অপর এক নেটিজেন এই ব্যক্তিকে সমর্থন করে লিখেছেন, “একদম ঠিক বলেছেন। এই যুবক শুধুমাত্র নির্যাতিতাদের মানসিকভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করছে।”
যদিও এই পোস্টদাতাকে কার্যত তুলোধনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটনাগরিক বলেন, “জীবন মানে শুরু বিয়ে নয়। আত্মহত্যা না করার কারণ কি শুধুমাত্র হিয়ে হতে পারে? অত্যন্ত সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা। বিবাহিত মানুষরাও আত্মহত্যা করেন। শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্যই কি আপনি বাঁচেন? নিশ্চই নয়! আমি বিয়ের বিরোধী নই। কিন্তু, উপযুক্ত কারণ দিন। সমাজের নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলাদের সম্মান করা উচিত। তাঁদের আর পাঁচজনের মতোই মনে করা উচিত। তাঁরা কাকে, কখন বিয়ে করবে সেই চিন্তাভাবনাও একান্তভাবে তাঁদেরই হওয়া উচিত।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।