
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ধানের শীষ শুধু একটি নির্বাচন প্রতীক নয়, এটি উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। এই প্রতীককে বিজয়ী করতে আগামী নির্বাচনে সবার ঐক্যই হবে মূল শক্তি।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “ধানের শীষ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ধানের শীষ হলো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতীক। এই প্রতীককে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না।”
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম-১১ আসনের ভোটারদের মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সামনে আয়োজিত গণসংযোগ–পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছাড়েনি। বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্যই আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সমাবেশে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইসরাফিল খসরুর গণসংযোগ উপলক্ষে দুপুর থেকেই নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-১০ ও ১১ আসন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। একসময় পুরো আগ্রাবাদ এলাকা হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
তিনি ঘরে ঘরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিতে এবং ধানের শীষে ভোট চাইতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয় বরং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার, নাগরিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখা। তারেক রহমানের ৩১ দফা দেশের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
গণসংযোগ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, হাজী হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আবসার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, জাহিদুল হাসান, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হোসেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমসহ অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



