জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাটে এবার হত-দরিদ্র ও বর্গা চাষিদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নরুল্লাপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনের দুই বিঘা জমির ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করেন চাকুরী প্রত্যাশীরা। চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মাঠে নেমে ধান কাটেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু।
এ সময় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮, বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মো. মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব শিকদারসহ চাকরি প্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে দেয়ায় খুশি হয়েছেন হত-দরিদ্র কৃষকরা।
কৃষক রুহুল আমিন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। এর মধ্যে এলাকার শিক্ষিত ভাইরা এসে আমার ধান কেটে দিলেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। সব শিক্ষিত ও ধনী মানুষ যদি কৃষকদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে কৃষকদের কষ্ট দূর হবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮, বাগেরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সব উপজেলায় কৃষকদের ধান কেটে দেব।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি পূর্বের নিয়োগের মতো ২০১৮ সালের নিয়োগেও প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে আমাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে ২৪ লাখ চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা ৫৫ হাজার ২৯৫ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে আমাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


