আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাকা পয়সা ধার করা খারাপ। ধার করে আর যাই হোক ধনী হওয়া যায় না। ধার নিয়ে এমন ধরনের কথা প্রচলন আছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু এসব ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন এক তরুণ।
বন্ধু, আত্মীয় এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ধার করেই রীতিমতো শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন আমেরিকার তরুণ শিক্ষার্থী জেক ফ্রিম্যান।
২০ বছরের এই কলেজ শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। মাত্র এম মাসের মধ্যে তিনি এখন মিলিওনিয়ার।
এক মাসে ৬৭৫ কোটি টাকার মালিক হয়েছে ফ্রিম্যান। এমন ঘটনায় তার পরিবার দারুণভাবে বিচলিত হয়ে পড়লেও নির্বিকার এই তরুণ। জানালেন, এনিয়ে কোন টেনশন নেই তার।
তবে জেক ফ্রিম্যান কি করে এতো টাকার মালিক হলেন, তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এসেছে তার ধনী হবার পেছনের গল্প।
গত জুলাইয়ে ৫০ লক্ষ শেয়ার কেনেন তিনি। শেয়ার প্রতি খরচ হয়েছিল ৪৫০ টাকা। যে শেয়ার তিনি ৪৫০ টাকায় কিনেছিলেন, এক মাস পর সে শেয়ারের এক একটির দাম হয় ২,২৬০ টাকা।
এক হাউসওয়্যার চেইনের এই শেয়ারের দাম বাড়তেই, ফ্রিম্যান তা বিক্রি করতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি। সব শেয়ার এক সঙ্গে ছেড়ে দিয়ে আয় করেন ৯০০ কোটি টাকা।
অর্থাৎ এক মাসে তাঁর লাভ হয় ৬৭৫ কোটি টাকা। ২২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফ্রিম্যান এই লাভের মুখ দেখেন। তাই ধার শোধ করতে একবিন্দু দেরি করেননি তিনি।
তবে ফিম্যানের ধনীর হবার ফেসারত দিতে হয়েছে যে কোম্পানির শেয়ার কিনেছিলেন সেটির সিএফও গুস্তাভো আর্নেলকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ইনসাইডার ট্রেডের।
যার জেরে অন্য শেয়ারহোল্ডাররা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। আর সেই বিপুল ক্ষতির কারণে ম্যানহাটনে তাঁর আবাসনের ১৯তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন গুস্তাভো।
এই ঘটনার বড় ফ্রিম্যানের পরিবারও ভয় পেয়ে যায়। তাদের ধারণা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা তাদের ছেলেকে হত্যা করতে পারে, অপহরণ করতে পারে।
কিন্তু পরিবারের এসব উৎকণ্ঠাতে একদমই পাত্তা দিতে চান জেক ফ্রিম্যান। বলেছেন, আপাতত তিনি তার পিএইচডির পড়াশুনা নিয়েই সময় কাটাতে চান।
তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার পর থেকেই বাবা-মা খুব চিন্তায় আছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আমাকে অপহরণ করা হতে পারে। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে অত চিন্তিত নই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।