জুমবাংলা ডেস্ক : টার্গেটে না পৌঁছানো পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংস করা হলো প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার কোকেন। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো মাদক যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা হয় সূর্যমূখী তেলের ১০৭টি ড্রাম। কয়েক দফা পরীক্ষা শেষে ২টি ড্রামে পাওয়া যায় কোকেন। তবে জব্দ হওয়া কোকেনের চালানের গন্তব্য এখনো জানা যায়নি।
বুধবার দুপুরে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে ড্রামভর্তি সেসব কোকেন ধ্বংস করা হয়।
মাদক চালানের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না, এ বিষয়ে সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতির কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, মাদকের তৎপরতা বন্ধে তিনভাগে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ চলছে। মাদক একটি ভয়ংকর নেশা। যিনি একবার এ নেশায় আসক্ত হবেন তিনি আর বের হতে পারেন না। মাদক সর্বনাশা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেটি নিয়ে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন একসময় জলদস্যু, বনদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। কোনো পর্যটক, স্থানীয় জেলে সুন্দরবনে যেতে পারতেন না। কিন্তু র্যাবের প্রচেষ্টায় এখন সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় দায়ের করা মাদক মামলায় ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিলেও, চোরাচালান মামলার তদন্ত এখনো শেষ করতে পারেনি র্যাব।
এ ঘটনার সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রকে শনাক্ত করা হয়েছে জানান র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।তিনি বলেন, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেইন আটক হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী। কিন্তু তারা রক্ষা পায়নি। র্যাব তাদের গ্রেফতার করেছে। এ মামলা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কারণে তা পারেনি।
র্যাব ডিজি বলেন, ২০১৫ সালে আটক হওয়া এসব কোকেইন এসেছিল সাউথ আমেরিকার একটি দেশ থেকে। এসব কোকেইনের গন্তব্যস্থান বাংলাদেশ ছিল না, এটি বাংলাদেশ হয়ে সাউথ এশিয়ার আরেকটি দেশে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা তা থামিয়ে দিয়েছি।
কোকেনের দেশ ও আন্তর্জাতিক চক্রকে শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি নূর মোহাম্মদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক। ১০ আসামির মধ্যে কারাগারে আছে ২ জন। আর জামিনে ৪ জন। মূল হোতা লন্ডন প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।