জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁ চলতি রবি মৌসুমে (২০২৩-২০২৪) জেলায় ১৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ৬৫ হাজার ৭৪৪ টন গম উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষিবিভাগ। গম চাষে উৎসাহিত করতে জেলার ৮ হাজার প্রান্তিক কৃষকদের সরকারি প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলায় উপজেলা ভিত্তিক ধার্যকৃত গম চাষের পরিমাণ ও উৎপাদনের সম্ভাব্য পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর জমি থেকে ২ হাজার ৫৬৫ টন, রানীনগর উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর জমি থেকে ১ হাজার ৬৬০ টন, আত্রাই উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমি থেকে ১ হাজার ৭০০ টন, বদলগাছি উপজেলায় ৯৪০ হেক্টর জমি থেকে ৩ হাজার ৫৫৫ টন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর জমি থেকে ১ হাজার ৩৪৫ টন, পত্তনীলা উপজেলায় ১ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমি থেকে ৪ হাজার ৯৩৫ টন, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ২৪০ হেক্টর জমি থেকে ৪ হাজার ৬৬০ টন, সাপাহার উপজেলায় ৪ হার্জা ২৫৫ হেক্টর জমি থেকে ১৫ হাজার ৯৮৪ টন, পোরশা উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমি থেকে ১৪ হাজার ৪৯০ টন, মান্দা উপজেলায় ১ হাজার ২৬০ হেক্টর জমি থেকে ৪ হাজার ৭৪০ টন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমি থেকে ১০ হাজার ১১০ টন গম উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ভু-প্রকৃতি হিসেবে নওগাঁ জেলার জমি গম চাষের খুবই অনুকুল। তাছাড়া অল্প সেচ ও খরচে গম চাষ হয় বিধায় লাভজনক।
গম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে জেলার ৮ হাজার প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির বিপরীতে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ২০ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ১০ কেজি করে ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী এই ৮ হাজার কৃষক প্রত্যেককে ১ হাজার ৭৯০ টাকা মূল্যের বীজ ও সার পেয়েছেন। সেই হিসেবে গম চাষে নওগাঁ জেলায় প্রান্তিক কৃষকদের সরকারী প্রণোদনা দেয়ার আথিক পরিমাণ মোট ১ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।