Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home নতুন ঘর, ভরা সংসার, তবু শূন্যতা আবু সাঈদের
    জাতীয় ডেস্ক
    জাতীয় স্লাইডার

    নতুন ঘর, ভরা সংসার, তবু শূন্যতা আবু সাঈদের

    জাতীয় ডেস্কSoumo SakibJuly 13, 20256 Mins Read
    Advertisement

    বছর দেড়েক আগেও সতীর্থ আর আন্দোলনের সহযাত্রী ছাড়া আবু সাঈদকে তেমন কেউ চিনতেন না। আজ রংপুরের প্রত্যন্ত বাবনপুর গ্রাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আবু সাঈদের নাম সবার মুখে মুখে; দেয়ালে দেয়ালে; সভায়-সেমিনারে। জাগো নিউজের করা সরেজমিন প্রতিদিন থেকে বিস্তারিত-

    নতুন ঘর, ভরা সংসারনতুন দেশের দিশা দিয়েছেন তিনি, কিন্তু তার মায়ের বুক তো খালি। শূন্য। সেখানে কেবলই হাহাকার।

    রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে ঢোকার রাস্তা সদ্য ঢাকা পড়েছে ইটের সুরকি আর বালিতে। খুব শিগগিরই পিচ পড়বে—জানান পাশের এক নির্মাণকর্মী।

    গাছের ছায়ায় ঢাকা সরু রাস্তা ধরে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়ে জুলাই শহীদ আবু সাঈদের বাড়ি। সে উঠোনে সদ্য উঠেছে নতুন ইটের ঘর। চকচকে রঙিন দেয়ালগুলো বলে দেয়, ঘরটির বয়স মাত্র কিছুদিন।

    সেই ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মনোয়ারা বেগম, শহীদ আবু সাঈদের মা। গামছায় মোড়া ভেজা চুল, রোদে চকচকে ফর্সা মুখ— কিন্তু চোখের কোনা ভেজা।

    খুব ধীরে, ক্ষীণ কণ্ঠে বললেন, ‘আজ নতুন ঘর হয়েছে, ঘরে টাকাও আসে… কিন্তু আমার ছেলেটা যে নেই! বুক খালি করে চলে গেছে সে। এই খালি বুকের হাহাকার তো আর থামে না…।’

    সেই কথার শেষটা আর ধরে রাখতে পারলেন না মনোয়ারা বেগম। দু’গাল বেয়ে নেমে আসে চোখের পানি।

    কান্না গোপন না করেই বলতে থাকেন—‘আমাদের সংসারটা ছিল খুব অভাবের। কিন্তু ছোট ছেলেটা, আবু সাঈদ… পড়ালেখায় ছিল খুব ভালো। কোনোদিন এক টাকাও দিতে পারিনি হাতে। নিজের খরচ নিজেই চালাতো সে।’

    ‘আবু সাঈদের তো থাকার মতো ঘরই ছিল না,’ বলছিলেন মনোয়ারা বেগম।

    “পড়ালেখা শেষের দিকে বলে ওকে বিয়ে দিতে চাইতাম। হাসতে হাসতে বলত, ‘নিজের থাকার জায়গা নেই মা, বউকে রাখব কোথায়?’”

    কৃষক বাবা মকবুল হোসেন নতুন ঘরের জন্য একটা ভিত দিয়েছিলেন। কিন্তু টানাটানির সংসারে সে ঘর আর উঠেনি।

    পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পরে নানাজনের পাওয়া আর্থিক সাহায্য দিয়ে এখন সেই ঘর উঠেছে—চকচকে ইট, গোলাপি রঙের দেয়াল। চওড়া বারান্দা।

    সেই ঘরের ঠিক পেছনে, নরম মাটির নিচে, চিরঘুমে শুয়ে আছেন আবু সাঈদ। আবু সাঈদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ।

    গত বছর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে যখন ছাত্র আন্দোলন তুঙ্গে, তখন ১৬ জুলাইয়ের দুপুরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র, মাত্র ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আন্দোলন চলাকালে পুলিশ তাকে লক্ষ করে খুব কাছ থেকে গুলি করে। আবু সাঈদ তখন এক হাতে লাঠি ধরে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই বুকে গুলি লাগার পরক্ষণেই তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।

    দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দাঁড়ানো—আবু সাঈদের সেই আইকনিক ছবিই নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এক দফার ডাক হয়ে ওঠে। আজও সেই ছবি সাহসের উৎস।

    সেই ঘটনার বছর ঘুরে এসেছে। স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সহজ সরল মা মনোয়ারা বেগম এখনো বিশ্বাস করতে পারেন না, তার সবচেয়ে নির্ভরতার ছেলেটা আর কখনো ঘরে ফিরবে না।

    ‘কবে, কিভাবে ওর বুকে এত সাহস জমেছিল, আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝিনি…আবু সাঈদও হয়তো বিশ্বাস করতে পারেনি—এভাবে ওর বুকে গুলি করবে পুলিশ,’ বলেন মনোয়ারা বেগম।

    দেশ দুনিয়ার খবর না জানা এই মা আক্ষেপ করে বলেন, “ইস! যদি আন্দোলনের খবরটা জানতাম, ওকে ফোন করে বলতাম, ‘বাড়ি আয়, বাবা’, তাহলে হয়তো ও আজ বেঁচে থাকত।”

    এবার উঠোনের অপর প্রান্তে পুরোনো মাটির ঘরের বারান্দায় পাতা চেয়ারে বসে কথা হয় সন্তানহারা এই দম্পতির সঙ্গে।

    আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘সরকার বলেছিল, জুলাই শহীদদের পরিবারকে ৩০ লক্ষ টাকা করে দেবে। আজও সেই টাকার কোনো খবর নেই।’

    তবে পাশে বসে থাকা মনোয়ারা বেগম একটু নরম স্বরে বললেন, ‘অন্য কিছু জায়গা থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তাই এই নতুন ঘরটা উঠেছে। ছেলেরা জমি বর্গা রেখেছে।’

    মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আবু সাঈদ ছিল আমার ছোট ছেলে। কিন্তু ওকে কোনোদিন চোখে চোখে রাখতে হয়নি। দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। এতটাই শান্ত আর বুদ্ধিমান ছিল সে!’

    ‘সবচেয়ে ছোট ছেলে হলেও সাঈদই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় আশার আলো,’ বলেন তিনি।

    মকবুল-মনোয়ারার বাড়িতে লোকজনের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। কখনো প্রতিবেশী, কখনো রাজনৈতিক কর্মী, কখনো সাংবাদিক।

    কথা বলতে বলতে কয়েকজন প্রতিবেশী ভিড় করেন। তাদের বসতে বলে আবার শুরু করেন মনোয়ারা বেগম, ‘পড়ালেখায় ভালো ছিল বলে শিক্ষক, পাড়ার লোক সবাই আদর করত। স্কুলে থাকতেই টিউশন করতো। নিজের খরচ চলত ওর আয়েই।’

    ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পর টিউশনির টাকায় শুধু নিজের খরচ না, কখনো আমার চিকিৎসা, কখনো ছোটবোনের আবদার—সবই সামলাতো। এমন সন্তান ক’জনের হয় বলুন,’ বলেন মনোয়ারা বেগম।

    মনোয়ারা বেগমের মেজ ছেলে আবু হোসেন গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে ঢাকাতেই থাকতেন। কিন্তু বড় ছেলে আবু রায়হান ঠিক পথে চলেননি। পড়ালেখা ছেড়ে বাজে সঙ্গ আর খানিকটা মাদকাসক্তও হয়ে পড়েন।

    ‘তাই সব দুশ্চিন্তা ছিল রায়হানকে ঘিরে। সাঈদকে নিয়ে তো কোনো চিন্তাই ছিল না,’ বলেন তিনি।

    কিন্তু এখন সেই বিষয়টিই প্রতিদিন কুঁড়ে কুঁড়ে কষ্ট দেয় তাকে।

    ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করতে যাওয়া ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করব কেন? এটা তো ভাবতেই পারিনি, বন্দুকের সামনে আমার সাঈদ বুক পেতে দেবে!’ বলছিলেন মনোয়ারা বেগম।

    মায়ের বয়স হয়েছে। তাই কখনো খাবারের জন্য তেমন কোনো আবদার ছিল না সাঈদের। বাড়িতে এলে পাশেই বিয়ে দেওয়া ছোট বোন সুমি খাতুনকে ডেকে পাঠাতেন। বোনই রান্না করতেন। সর্বশেষ যেবার বাড়ি এসেছিলেন সাঈদ, সেবারও সুমি এসেছিলেন।

    ‘সাঈদ বাজার করে আনল, সুমি রান্না করলো। সবাই মিলে খেলাম আমরা’, বলেন মনোয়ারা বেগম।

    পা ফুলে যাওয়ায় বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসাও করান আবু সাঈদ। সেসবই আজ স্মৃতি। কিন্তু সেসব দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন মনোয়ারা।

    সম্প্রতি বড় ছেলে আবু রায়হানকে বিয়ে দিয়ে বউ এনেছেন। ঢাকার পাট চুকিয়ে মেজ ছেলেও বউ নিয়ে গ্রামে থিতু হয়েছেন। ছেলেরা নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন বলে সচ্ছলতা এসেছে। ঘরে এখন অনেক মানুষ। তবু এক বুক হাহাকার এই মায়ের। এই শূন্যতা যেন কেবলই তার একান্ত!

    মনোয়ারা বলেন, সাঈদের বয়সী ছেলেগুলোকে দেখলে মনে হয়—এটা যদি আমার সাঈদই হতো!

    সেদিনের কথা মনে করে মনোয়ারা বেগম বলেন, আন্দোলনের খবর তো জানতাম না। পাশের বাড়ির একজন হঠাৎ কাঁদতে কাঁদতে জানালো আবু সাঈদের কী যে হয়েছে, পরে শুনলাম গুলি লেগেছে। ‘ওর লাশ এলো। আমি শুধু মুখটা দেখলাম। শান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিল আমার সাঈদ,’ বলেন তিনি।

    বাড়িতে ঢোকার পথেই বাঁ পাশে আবু সাঈদের কবর। কবরের পাশ দিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টানা হচ্ছে। কথা বলতে বলতে মনোয়ারা বেগম ও মকবুল হোসেন সেখানে আসেন। বাঁশ দিয়ে ঘেরা আবু সাঈদের কবরের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন মনোয়ারা।

    নির্মাণাধীন দেয়ালে বসে পড়েন মকবুল হোসেন। কাঁপা কণ্ঠে বলেন, ‘সন্তানের হাতে মা-বাবার কবর হওয়ার কথা। কিন্তু আজ আমরা সন্তানের কবর পাহারা দিচ্ছি।’

    কথাটা শুনে যেন প্রকৃতির সব স্তব্ধ হয়ে যায়। আমরাও ফেরার পথ ধরি বিদায় না নিয়েই।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় Bangladesh diaspora emotional story migrant worker story আবু আবু সাঈদ ঘর তবু নতুন নতুন ঘর পরিবারের শূন্যতা প্রবাস জীবন প্রবাসীর গল্প ভরা শূন্যতা সংসার সাঈদের স্লাইডার
    Related Posts
    Bangladesh

    লঙ্কানদের ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

    July 13, 2025
    DIG

    জঙ্গিবাদ একসময় ছিল একটা নাটক: ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

    July 13, 2025
    Rashed

    সেনানিবাসে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা কেন, প্রশ্ন রাশেদ প্রধানের

    July 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Shilpa Shetty

    বহু প্রস্তাব পেয়েও প্রত্যাখ্যান শিল্পার, কিন্তু কেন?

    Tulip

    হাইকোর্টের আদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের মামলা স্থগিত

    Web Series

    উল্লুতে এসে গেলো নতুন ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজন, ভুলেও বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না

    Dollar-Taka

    ডলারের বিপরীতে বেড়েছে টাকার মান

    Helmate

    হেলমেটে বিশাল ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন যুবক!

    Bangladesh

    লঙ্কানদের ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

    helmet cctv

    নিরাপত্তা সংকটে হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন যুবক

    Bangladesh-Sri Lanka

    ৭৩ রানে লঙ্কানদের ৭ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ

    Radiq Sharkar-1

    Journalist Rafiq Sharkar’s Camera Tells the Story of Nature

    slow internet in rain

    বৃষ্টির সময় ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়? জানুন কারণ ও এর সমাধান

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.