নতুন জীবনের আগে শরীর থেকে যা মুছলেন সামান্থা!

২০২১-এ অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর। মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটি বছর। এর মধ্যে নাগা নতুন করে সংসার পেতেছেন, অন্যদিকে সামান্থাও জীবনে নতুন অধ্যায়ে পা ফেলতে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিনেত্রী চাচ্ছেন না তার প্রাক্তনের কোনো স্মৃতি রাখতে। তাই তো শরীরে থাকা প্রাক্তনের শেষ স্মৃতিটুকুও এবার মুছে ফেললেন সামান্থা!

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ছোট ভিডিও ভাগ করে নেন সামান্থা। ধারণা করা হচ্ছে, এটা তার আসন্ন কোনো কাজের প্রচার ভিডিও। ক্যামেরার সামনে এসে সামান্থার ভাষ্য, ‘কিছুই লুকোনোর নেই!’ তারপরেই ফিরে গেছেন। খয়েরি রঙের গাউনের পিঠ গভীর ভাবে কাটা, এ দিকে সমান্থার চুল উঁচু করে বাঁধা। ফলে অভিনেত্রীর টানটান পিঠ নজর কেড়েছে দর্শকের। আর সেখানেই শুরু জল্পনার।

সামান্থা কেন এমন ভিডিও পোস্ট করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে তিনি বলেছেন, তার সঙ্গে থাকতে। অর্থাৎ, বিশেষ কিছু জানাতে চলেছেন তিনি। মুখে না বললেও পিঠ দেখিয়ে দর্শককে বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরোনো ট্যাটু তিনি তুলে ফেলেছেন। অর্থাৎ অভিনেত্রীর পিঠে লেখা ‘ওয়াইএমসি’ বা ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ ট্যাটুটি আর নেই! ২০১০ সালে এই নামেই একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল নাগা-সামান্থার। তেলুগু ভাষায় ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’-এর বাংলা অর্থ- ‘কী যাদু করেছ তুমি’। ১৫ বছর পর ট্যাটু মুছে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনার।

বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে অভিনেত্রীর অনুরাগীদের। মন্তব্য বিভাগে সে কথা তারা লিখতেই সমান্থার ট্যাটু মোছা নিয়ে হইচই শুরু।

মূলত ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ ছবিতে অভিনয়ের পরই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাগ-সামান্থা। সাত বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ তে বিয়ের পিঁড়়িতে বসেন। কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই ২০২০-তে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ২০২১-এ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয় এই তারকা যুগলের।

বন্ধ রুমে যা করছিলেন বিবাহিত নায়ক-নায়িকা!

এরপর সম্প্রতি ‘ফ্যামিলি ম্যান’ পরিচালক রাজ নিদিমরুর কাঁধে মাথা রেখে ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সামান্থার হাসি মুখ দেখেই আর বুঝতে বাকি ছিল না যে নায়িকার জীবনে এসেছে দ্বিতীয় বসন্ত। শোনা যাচ্ছে, আগামীতেই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন তারা।