মধুমিতা সরকার
২০১৭ সালে ‘পরিবর্তন’ ছবির মাধ্যমে কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মধুমিতা সরকারের। প্রথম ছবিতেই দর্শক নজর কাড়েন এবং একে একে- লাভ আজ কাল পরশু, চিনি, ট্যাংরা ব্লুজ, কুলের আচার, পুষ্পিতা, চিনি টু, দিলখুশ, যত কান্দো কলকাতা ছবিতে দক্ষ অভিনয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন সুশ্রী এই নায়িকা।
দর্শনা বণিক
ইতোমধ্যে কলকাতা ছাড়িয়ে তামিল ও বাংলাদেশের ছবিতেও নাম লিখিয়েছেন কলকাতার হার্টথ্রব দর্শনা বণিক। ‘আমি আসব ফিরে’ ছবিতে তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যগুণ মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। অরিন্দম শীলের ‘আসছে আবার শবর’ এবং ওয়েব সিরিজ ‘সিক্স’ ও ‘ল্যাবরেটরি’তেও ছিল দর্শনার সরব উপস্থিতি। এ ছাড়া ‘মুখোমুখি’ নামের একটি ছবিও রয়েছে তার। বাংলাদেশের অন্তরাত্মা ছবিতে কাজ করেছেন এবং এখন এ দেশেরই ‘ওমর’ ছবিতে কাজ করছেন দর্শনা।
ইশা সাহা
পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন ইশা সাহা। ছবিতে ইশার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। এরপর আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ছবিতে সুযোগ পান। এ ছবিতেও বাজিমাত করেছেন ইশা। ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তিতেও নাকি তাকে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাজ করেছেন ‘জাপানি টয়’ শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজেও। সব মিলিয়ে টলিউডে নিজের আসন পাকা করে ফেলেছেন ইশা।
সৌরসেনী মৈত্র
ধীরে ধীরে পরিচালক ও প্রযোজকদের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। ২০১৭ সালে ‘মেঘনাদবধ রহস্য’ আর ‘মাছের ঝোল’ ছবির মাধ্যমে টলিউডে পা রাখেন সৌরসেনী। এরপর অঞ্জন দত্তের ‘আমি আসব ফিরে’ ছবিতে সৌরসেনীর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। কিছুটা ভিন্ন ধাঁচের ছবিতে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘ব্যোমকেশ গোত্র’, অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ এবং মৈনাক ভৌমিকের ‘জেনারেশন আমি’ ছবিতেও কাজ করেন নতুন এই তারকা।
চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী
পরিচালক প্রীতম ডি গুপ্তের ‘আহারে মন’ ছবিতে চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী এতটাই ভালো অভিনয় করেছেন যে, গোটা টলিউড তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করেন এই অভিনেত্রী। আলোচিত ‘ক্রিসক্রস’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিসহ একাধিক হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা।
তুহিনা দাস
অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘আসছে আবার শবর’ ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তুহিনা দাস। ‘দৃষ্টিকোণ’ আর ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতেও অভিনয় করেন। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ভূমিকন্যা’ও মাতান তিনি। এ ছাড়া অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে তুহিনাকে কৌশিক সেন ও যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়।
রাজনন্দিনী পাল
‘উড়নচ-ী’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। এরপর থেকেই নাকি তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন কলকাতার প্রথম সারির পরিচালক ও প্রযোজকরা। বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। রাজনন্দিনীর ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’তে তাকে যিশু সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায়।
অরুণিমা ঘোষ
অরুণিমা ঘোষ ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ‘সূর্য’ দিয়ে। ‘আমার আমি’তে তার ভূমিকার জন্যও পরিচিত। তার অভিনীত ও আলোচিত বাংলা চলচ্চিত্র হোচেতা কি, বাঙ্কু বাবু, অ্যাবি সেন এবং সতেরোই সেপ্টেম্বর।
মনামী ঘোষ
কালো চিতা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং বাংলা চলচ্চিত্র এক মুঠি ছবি, বক্স নং ১৩১৩ এবং বেলা শুরুতে অভিনয় করেন। তিনি ‘মৌচাক’ শিরোনামের ওয়েব সিরিজের সঙ্গেও যুক্ত। কলকাতার হট নায়িকার তালিকায় সব সময় তিনি ওপরে থাকেন।
ঋত্বিকা
ঋত্বিকা ১০০% লাভ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো তুমি যে আমার, ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড, লাভ স্টোরি এবং মিসড কল।
রিধিমা ঘোষ
রিধিমা অমর সঙ্গী, কিডন্যাপার, হাফ সিরিয়াস এবং দ্বিতীয় পুরুষের মতো বাংলা চলচ্চিত্রের অংশ। তিনি জনপ্রিয় বাংলা ওয়েব সিরিজ ব্যোমকেশ এবং মাফিয়ার অংশও।
তনুশ্রী চক্রবর্তী
জনপ্রিয় বাংলা ছবি ‘উড়োচিঠি’ দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। তিনি দিদি নাম্বার ১ এবং এবার জলসা রানাঘরে বিশেষ ভূমিকায় ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।