নবম পে স্কেল নিয়ে সব মন্ত্রণালয়ের ৭০ জনেরও বেশি সচিবের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। আকাশচুম্বী সুপারিশ না করে বাস্তবসম্মত সুপারিশের জন্য মতামত দিয়েছেন তারা।

পে কমিশন সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়। সুপারিশ প্রণয়নে তাদের মতামত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কমিশনের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সচিবদের মতামত নেয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের সঙ্গে ধাপে ধাপে সভা করা হয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। এগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ জমা দিতে পারবে বলে আশা করছি।’ এদিকে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পূর্ণোদ্যমে কাজ চলছে জানিয়ে কমিশনের সদস্যরা বলছেন, এরইমধ্যে কাজের অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো এবং গ্রেড পুনর্বিন্যাসের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।
এর আগে, রবিবার (৩০ নভেম্বর) পে কমিশনের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ হয়েছে।
তবে নবম পে স্কেল প্রণয়নে দ্রুত অগ্রগতি করছে পে কমিশন। এরই মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। ৭০-এর বেশি সচিবের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এসব সভায় পে স্কেল নিয়ে নানা প্রস্তাব ও সুপারিশ উঠে এসেছে।
গতকাল রবিবার (৩০ নভেম্বর) পে কমিশনের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৭০-এর বেশি সচিবের মতামত নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়—এটি মাথায় রেখেই চার ধাপে সভা করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে ১৭ বা তার বেশি সচিব অংশ নেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ জমা দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, ২৪ ও ২৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হলেও কয়েকজন সচিব অনুপস্থিত থাকায় আবারও বৈঠক হবে। সুপারিশ কবে জমা দেওয়া সম্ভব এ বিষয়ে তিনি জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



