থিয়েলের ক্যারিয়ার সম্পর্কে যারা খোঁজখবর রেখেছেন, কিংবা তার সান্নিধ্যে এসেছেন তারা জানেন পিটারের মাঝে আছে জনপ্রিয় মতবাদগুলো বিরোধিতা করার মনোভাব, আত্মবিশ্বাস, আর অসম্ভব বিষয়ের ক্ষেত্রে নিজের অনুকূলে ফলাফল নিয়ে আসার ক্ষমতা। ব্যক্তি থিয়েল ও তিনি যেসব কোম্পানি গড়ে উঠতে সাহায্য করছেন, উভয় জায়গাতেই এসবের নিদর্শন দেখা যায়।
থিয়েল একজন দক্ষ দাবা খেলোয়াড়, একজন বিলিয়নিয়ার, পেপাল ও প্যালান্টিরের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, এবং তার প্রজন্মের সেরা বিনিয়োগকারী। একইসাথে ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতায় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার মতো ডানপন্থী উদ্যোগগুলো পৃষ্ঠপোষকতাও তিনি করেছেন।
থিয়েল সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য ব্যক্তি, যেমন- জেফ বেজোস, এলন মাস্ক, এমনকি যারা নিয়মিত মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করেন না, তারাও আমজনতার কাছে ভালোই পরিচিত। কিন্তু সিলিকন ভ্যালির প্রকৃত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব পিটার থিয়েল।
তিনি ও তার কর্মীরা পেপাল নিয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কৌশলে কাজ করেন। তার এই কৌশল এয়ারবিএনবি থেকে শুরু করে উইওয়ার্ক পর্যন্ত পুরো একটা প্রজন্মের স্টার্টআপ গড়ে তোলার কৌশলে পরিণত হয়েছে। থিয়েল শুধু একটা নির্দিষ্ট ঘরানায় কাজ করে অন্যদের দেখে অনুসরণ করার জন্যই বসে থাকেননি।
তিনি তার পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে স্ট্যানফোর্ডে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি তার সাবেক কর্মীদের গড়ে তোলা কোম্পানিগুলো থেকে শেখানোর চেষ্টা করেন, যাদের বলা হয় ‘পেপাল মাফিয়া’। তিনি পরবর্তীতে তার চিন্তাধারাগুলো লিপিবদ্ধ করেন তার জিরো টু ওয়ান বইয়ে।
থিয়েল ষাটের দশকের কাউন্টার কালচারকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখেন। তার মতে, একটা কোম্পানি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার নিজের নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করা। থিয়েল তার বইতে লিখেছেন, “একটি স্টার্টআপ গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয় আয়ত্তে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন।”
অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে আসা নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারা তার আদর্শকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। তিনি তাদের নিয়ম ভাঙার প্রতি উৎসাহ দেন, এবং সমাজে প্রভাব রাখার চেয়ে আর্থিক লাভের দিকে গুরুত্ব দিতে উপদেশ দেন। থিয়েলের উৎসাহে টেক কোম্পানিগুলো দ্রুত এগিয়ে যাওয়া ও প্রতিবন্ধকতাগুলো ভেঙে ফেলার নীতিতে কাজ করা শুরু করে। ফেসবুক তো তাদের মটোই দিয়ে রেখেছে, “মুভ ফাস্ট অ্যান্ড ব্রেক থিংস।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।