জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নতুন বেতন-ভাতা কার্যকর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের পর্যায়ে সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা কার্যকরে আরও এক মাস সময় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, চতুর্থ প্রজন্মের নতুন এবং দুর্বল দুই ব্যাংক ছাড়া আগামী এপ্রিল থেকে তা কার্যকর করতে হবে।
একই সঙ্গে শিক্ষানবীশসহ অন্যান্য কর্মীদের এন্ট্রি লেভেলের ন্যুনতম বেতন-ভাতাও নির্ধারণ করে নতুন সার্কুলার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার নতুন এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ক নির্দেশনা দিয়ে জেনারেল (সাধারণ) শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৯ হাজার এবং ক্যাশ শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা বেতন-ভাতা দিতে বলা হয়েছে।
আর শিক্ষানবীশ জেনারেল কর্মকর্তাদের ন্যুনতম সাকুল্য ২৮ হাজার এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আলাদা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে চলতি বছর ১ মার্চ থেকে তা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল গত ২০ জানুয়ারির সার্কুলারে।
এরপর বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে আরও সময় চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি।
তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময় দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। গত বুধবারের ওই বৈঠকের পর বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ১ মার্চ থেকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করা তাদের জন্য কঠিন হবে, সে কথা তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়। এতে চতুর্থ প্রজন্মের নয় ব্যাংক এবং নতুন ব্যাংক বেঙ্গল কমার্শিয়াল, কমিউনিটি, সীমান্ত ও সিটিজেন আর দুর্বল দুই ব্যাংক বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিকের জন্য পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন বাস্তবায়নে সময় চায় মালিকরা
ব্যাংকে সর্বনিম্ন বেতন কত, বেঁধে দেওয়া হলো সীমা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এন্ট্রি লেভেলে এসব ব্যাংকের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত জেনারেল কর্মকর্তাদের ন্যুনতম বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ন্যুনতম বেতন-ভাতা হবে ৩৬ হাজার টাকা।
এর মধ্যে মূল বেতন চলতি বছর এপ্রিল থেকে দিতে এবং ভাতা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে। তবে ব্যাংক চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই বেতন-ভাতা দুটোই দিতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
নতুন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
এসব ব্যাংকে প্রবেশ পর্যায়ে (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষানবিশ জেনারেল সাইডে কর্মরত
কর্মকর্তাদের সাকুল্য বেতন হিসাবে ন্যূনতম ২৮ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা দিতে হবে। পুরোনো বেতন কাঠামোর সঙ্গে যে পার্থক্য হবে, তার ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিলে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই সব বেতন-ভাতা দিতে পারবে।
অন্যদিকে বাকি সব ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলের জেনারেল শাখার কর্মকতা, ক্যাশ কর্মকর্তা এবং শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন-ভাতাদিও উপরের ব্যাংকগুলোর মতো একই হবে; যা চলতি বছর এপ্রিল থেকেই তা দিতে হবে।
নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি কার্যকর করার পর একইপদে আগে থেকে কমর্রত কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি বা সমন্বয় করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকের অন্যান্য শাখার কর্মীদের বেতন নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ সব বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়ক/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২৪ হাজার টাকা।
একই পদে অন্যান্য জেলা শহরের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২১ হাজার টাকা ও উপজেলা শহরের ১৮ হাজার টাকা। অপরদিকে বেতন-ভাতাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আউটসোর্সিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।