জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের বাজারে আসা নতুন এ মাদকের বিকল্প নাম ক্রিস্টাল ম্যাথ। এটি খুব ব্যয়বহুল। দেখতে অনেকটা চিনির দানার মতো। অন্য যেকোন মাদকের চেয়ে ভয়াবহ। উচ্চবিত্ত শ্রেণির লোকজনই এটি গ্রহণ করে থাকে। আইস মূলত মানুষের শরীরে অতিমাত্রায় উন্মাদনা ও উত্তেজনা ছড়ায়। ইয়াবায় এমফিটামিন থাকে পাঁচ ভাগ। আইসের পুরোটাই এমফিটামিনে ভরা থাকে। এজন্য এটি ইয়াবার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম এ মাদকের সন্ধান পায় ডিএনসি। ওই সময় রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার একটি বাসার বেজমেন্টে আইস তৈরির কারখানার মেলে। আইস তৈরি করতে করা হয় একটি ডিজিটাল ল্যাব। যার মালিক হাসিব মোহাম্মদ শরীফ। এ বিষয়ে তদন্তে নেমে ডিএনসির কর্মকর্তারা মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, ভাটারা, গুলশান এলাকায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে হাসিব, তার সহযোগী এবং নাইজেরিয়ান নাগরিকসহ ৬ থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই আইস বিক্রেতা।
ডিএনসির খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক ফজলুর রহমান খান বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, বহন সহজ ও চিনি বা মিশ্রির মতো দানাদার হওয়ায় খালি চোখে বুঝা দুষ্কর। আবার ইয়াবার মতো এটির কোনো ফ্লেবারও নেই। এক গ্রাম আইস ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। লাভের পরিমাণও বেশি। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ অভিজাত এলাকার উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে এ মাদক বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এদের বেশিরভাগ আবার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। মূলত এসব কারণে আইসের ব্যাপকতা গোপনে বেড়েছে। তবে এটি নির্মূলে আমরা কাজ করছি।
ফজলুর হক খান বলেন, হাসিবকে গ্রেপ্তারের পর শফিকুল আইস ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। পরে তিনিও ধরা খান। তবে হাসিব ও শফিকুলের মাধ্যমে আরো বেশ কয়েকজন এ ব্যবসা করছেন। ইতিমধ্যে চক্রের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তকালে একটি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। যা বন্ধ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের হোতা হাসিব ও তার অন্যতম সহযোগী শফিকুলকে। তবে তারা জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করে। কিন্তু আমাদের অভিযানে আবারও বিপুল পরিমান আইস ও নগদ টাকাসহ শফিকুল গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে তিনি কারান্তরীণ। তবে দেশে আইসের কোনো কারখানা আছে বলে মনে হচ্ছে না। এরপর সব সময় এ বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নতুন এ মাদক মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উগান্ডা, কেনিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে গোপনে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।