জুমবাংলা ডেস্ক : আসছে বছরেই শেষ হচ্ছে এমআরটির (ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট) মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এই পর্বের সব শেষ অর্থাৎ কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাজ। এদিকে প্রতিটি স্টেশনেই কমপক্ষে পাঁচটি করে এটিএম বুথ বসাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। শিগগরিই ফার্মগেট আর কারওয়ানবাজার স্টেশন প্লাজাও চালুর পরিকল্পনা তাদের।
এমআরটি লাইন সিক্স এখন রাজধানীবাসীর ভরসার নাম, যা গতি এনেছে নগর জীবনে। এবার মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে চলছে কর্মযজ্ঞ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এরইমধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রায় সবগুলো পিলার। মতিঝিল প্রান্ত এগিয়েছে ভায়াডাক্টও। কমলাপুরে দৃশ্যমান হয়েছে মূল স্টেশন। হয়েছে কনকর্স লেভেলের ঢালাই। কর্তৃপক্ষ বলছে, আসছে বছর এই অংশের অবকাঠামো নির্মাণ শতভাগ শেষ হবে।
এমআরটি লাইন সিক্সের ডিপিএম মো. মাহফুজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ঈদের আগেই একটি স্প্যান দাঁড় করিয়েছি। এরপর আমরা কমলাপুর স্টেশন ভবনের কনকর্স লেভেলে একটি অংশ ঈদের আগের দিন ছাদ ঢালাই করেছি। এখন পর্যায়ক্রমে বাকি ছাদগুলোও কনকর্স লেভেল ঢালাই হবে। তারপর ওপরের দিকে প্ল্যাটফর্মের স্ল্যাব ঢালাই হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই সিভিল কংক্রিটিং ওয়ার্কগুলো শেষ করতে চাচ্ছি।
এদিকে প্রতিদিনের যাতায়াতে মেট্রো স্টেশন ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা দিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সুবিধা। ডিজিবক্সের পর এটিএম বুথ বসেছে স্টেশনে। পর্যায়ক্রমে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংক যুক্ত হবে এই তালিকায়। যাত্রী সুবিধায় বসানো হবে ছোট ছোট দোকান। আর শিগগিরই ফার্মগেট আর কারওয়ানবাজারে স্টেশন প্লাজা ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটি স্টেশনে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া কিছু কিছু স্টেশনে ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো রিটেইল শপের সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রীচাপ বিবেচনায় নিয়মিতই সমন্বয় করা হচ্ছে ট্রেনের সময়সূচি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।