জুমবাংলা ডেস্ক: ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ। ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশের আমদানিও বেড়েছে। বাংলানিউজের প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম মেহেদী-এর প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
ফলে খুশি উপকূলীয় জেলেরা।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর মাছ বাজারে ইলিশের পাশাপাশি নদীর বড় বড় পাঙাশ মাছ দেখা যাচ্ছে। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা দরে। এবার উপকূলের মৎস্যঘাটগুলোতে ইলিশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কেনা-বেচার ধুম পড়েছে পাঙাশেরও।
পাঙাশ মাছের দাম এতো কেন, জানতে চাইলে খুচরা মাছ ব্যবসায়ী কামাল বলেন, ভালো জিনিস খেতে হলে দাম তো একটু বেশি দিতেই হবে। এটা চাষের পাঙাশ না। স্থানীয় নদীগুলোর পাঙাশ। এর স্বাদ যে কোনো মাছের চেয়ে ভালো। এ মাছে তেল অনেক। কোনো গন্ধও নাই। কম দামের পাঙাশে এক ধরনের গন্ধ থাকে। সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে নদী ও সাগর মোহনায় মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ও নদীতে বড় বড় পাঙাশ মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
এনায়েত নামে এক ক্রেতা বলেন, আকারে বড় হওয়ায় ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করছেন। এ মাছের কেজি ৭৫০ টাকা। নদীর ভালো পাঙাশ খেতে অনেক মজা।
রশিদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এ বাজারে আট থেকে ১৪ কেজি পর্যন্ত ওজনের পাঙাশ যেন সোনার দামে বিক্রি হচ্ছে। যদি ৭৫০ টাকা দিয়ে পাঙাশ কিনতে হয়, তাহলে ইলিশ কতো টাকা দিয়ে কিনবো? যাদের টাকা আছে, তারা মন চাইলে এ দামে কিনে নিয়ে যাবে। আমার মতো ক্রেতা এটা কিনবে না, এটা নিশ্চিত।
মাছ বিক্রেতা বাঁধন বলেন, আমি দাম চাচ্ছি ৭৫০ টাকা। দেখি ক্রেতারা কত দাম কয়। কত দামে বিক্রি করবো এখনও ঠিক করিনি। রাত পর্যন্ত কী হয় দেখি। নদীর পাঙাশ বলে বেশি দামে কিনতে হয় আমাদের। বিভিন্ন খাবার হোটেলে এ মাছের চাহিদা রয়েছে।
৬ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।