উম্মে আহমাদ ফারজানা : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সর্বমোট তিন পুত্র ও চার কন্যা ছিল। ইবরাহিম ছাড়া বাকি ছয় সন্তানের সবাই ছিলেন খাদিজা (রা.)-এর গর্ভজাত। তিনি বেঁচে থাকা অবধি রাসুল (সা.) দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। (ইবনু হিশাম ১/১৯০; মুসলিম, হাদিস : ২৪৩৬)
মুহাম্মাদ (সা.)-এর সঙ্গে বিয়ের সময় খাদিজা (রা.) আগের দুই স্বামীর কয়েকজন জীবিত সন্তানের মা ছিলেন।
তাঁর গর্ভজাত ও পূর্ব স্বামীর সন্তানরা ইসলাম কবুল করেন ও সবাই সাহাবি ছিলেন। খাদিজা (রা.)-এর গর্ভে রাসুল (সা.)-এর প্রথম সন্তান ছিল কাসেম। তার নামেই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপনাম ছিল আবুল কাসেম। অতঃপর কন্যা জয়নব, পুত্র আবদুল্লাহ, যার লকব ছিল তাইয়িব ও তাহের। কারণ তিনি নবুয়ত লাভের পর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা। কাসেম ছিলেন সন্তানদের মধ্যে সবার বড়। যিনি ১৭ মাস বয়সে মারা যান। নবুয়ত লাভের পর আবদুল্লাহ জন্মগ্রহণের কিছু দিনের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করায় আস বিন ওয়ায়েল প্রমুখ কুরায়েশ নেতারা রাসুল (সা.)-কে ‘আবতার’ বা নির্বংশ বলে অভিহিত করেন। কেননা সে যুগে কারু পুত্রসন্তান মারা গেলে এবং পরে পুত্রসন্তান হতে দেরি হলে আরবরা ওই ব্যক্তিকে ‘আবতার’ বলত। অতঃপর চার কন্যার মধ্যে কে সবার বড় ও কে সবার ছোট এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে প্রসিদ্ধ মতে, জয়নব বড় ও ফাতেমা ছিলেন ছোট।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মোট সাত সন্তানের ছয়জনই তাঁর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের মধ্যে পুত্ররা শৈশবে মারা যান। কন্যারা সবাই বিবাহিতা হন ও হিজরত করেন। কিন্তু ফাতেমা (রা.) ছাড়া বাকি তিন কন্যা রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর ছয় মাস পরে ফাতেমা (রা.) মারা যান। রাসুল (সা.)-এর সর্বশেষ সন্তান ছিলেন পুত্র ‘ইবরাহিম’। তিনি ছিলেন মিসরীয় দাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভজাত। যিনি মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দুধ ছাড়ার আগেই মাত্র ১৮ মাস বয়সে ১০ম হিজরির ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ২৭ অথবা ৩০ জানুয়ারি সূর্য গ্রহণের দিন সোমবার মদিনায় ইন্তেকাল করেন। (বুখারি, হাদিস : ১০৬০; মুসলিম, হাদিস : ৯০৬; রহমাতুল্লিল আলামিন : ২/৯৮)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।