আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণপশ্চিম নাইজারের একাধিক গ্রামে জিহাদি হানায় ১৩৭ জন মারা গেছেন বলে সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলে’র।
সাম্প্রতিক সময়ে এটাই নাইজারে সব চেয়ে বড় জিহাদি হানা। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর নির্মম আক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরকার প্রথমে জানিয়েছিল, ৮০ জন মারা গেছেন। পরে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১৩৭ জন।
স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মালি সীমান্তের কাছের গ্রামগুলিতে সশস্ত্র বাহিনী এসে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর সময় তারা কোনো বাছবিচার করেনি। সরকার এই নৃশংসতার নিন্দা করছে। সরকারের মতে, যারা এই কাজ করছে, তাদের আইন বা কোনো ধর্মে বিশ্বাস নেই।
সরকার জানিয়েছে, তিনদিন জাতীয় শোক পালন করা হবে। এই এলাকায় আরো নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হবে। যারা এই আক্রমণ করছে, তাদের শাস্তি দেয়া হবে।
রোববারই সাংবিধানিক আদালত জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাজোউম ভোটে জিতেছেন। ভোটের পর থেকেই নাইজারে সশস্ত্র হামলা বাড়ছে। গত সপ্তাহে টিলাবেরি এলাকায় এই ধরনের হামলায় ৬৮ জন মারা গেছেন। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, একইরকম নৃশংসভাবে দক্ষিণপশ্চিম নাইজারেও আক্রমণ শানিয়েছে জিহাদিরা। এটা জানুয়ারিতে একশ জনকে হত্যার ঘটনাকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মালি ও নাইজেরিয়া থেকে জিহাদিরা নাইজারে এসে এই সব হামলা চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।