শিল্পী নাজনীন আক্তার হ্যাপী সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলেন এমন একটি startling revelation নিয়ে, যা অনেকের মনে বিস্ময় জাগিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নীরব ছিলেন, কিন্তু তার স্বামী মুফতি তালহা ইসলাম সম্পর্কে অভিযোগ করতে হলে বাধ্য হয়েছেন। হ্যাপী দাবি করেছেন যে তালহা ইসলাম তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে ৯টি বিয়ে করার অভিযোগও তুলেছেন।
Table of Contents
মুফতি তালহা ইসলামের ৯টি বিয়ের অভিযোগ নিয়ে আবেগপূর্ণ বক্তব্য
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, নাজনীন আক্তার হ্যাপী জানিয়েছেন যে তার স্বামী মুফতি তালহা ইসলাম মোট ৯টি বিবাহ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এর মধ্যে তার নিজস্ব সম্পর্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ইতিমধ্যে অত্যন্ত বিতর্কিত। হ্যাপী অভিযোগ করেছেন যে তালহা ইসলামের সঙ্গে তাঁর সংসারে নিয়মিত নির্যাতন চলেছে এবং একাধিকবার তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ এসেছে যে তালহা ইসলামের দাবি করা ৫ লাখ টাকার যৌতুকও এখনও পরিশোধিত হয়নি।
হ্যাপী বলেছেন, “আমি বারবার তালাক চাইতাম, কিন্তু প্রতি বারই সে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।” এতে বোঝা যায় যে তালহার শর্ত ছিল যেন তাকে এক কোটি টাকা দিতে হয় বা সন্তানের প্রতি তার মাত্রার পরিত্যাগ করতে হয়। এটা পুরোপুরি অমানবিক একটি শর্ত এবং সমাজের নজরে আসা জরুরি।
নয়টি বিয়ের কাহিনী
হ্যাপী তার সামাজিক মাধ্যমে কষ্ট করেছিলেন এবং স্বৈরাচারীর সঙ্গে তালহা ইসলামের বিয়ের কাগজপত্রও প্রকাশ করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, তালহা ইসলাম অন্তত ৯টি মেয়ের সাথে বিয়ে করেছেন, এবং সব বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি সঠিক দায়িত্ব পালন করেননি। হ্যাপী যদি বরাবরের জন্য তার সন্তানকে দেখতে না পাওয়ার শর্তে তালাক চান, তাহলে এটি নারী হিসেবে তার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
হ্যাপী তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি মহিলা এবং শিশুদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছেন, যা সমাজ এবং আইনব্যবস্থার প্রতি একটি গুরুতর প্রশ্ন।
নিরাপত্তাহীনতা এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবর
হ্যাপী খবর দিয়েছে যে তিনি মামলা করার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। “মামলার পর তালহা আমার বাসায় এসে ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে গেছে এবং আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে,” বলেছেন হ্যাপী। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাতে সঠিক ভূমিকা পালন করে, সেটা নিশ্চিত করা উচিত।
এখন পর্যন্ত তালহা ইসলামের পূর্ব দুর্বলতা এবং উদাত্ততার সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, বর্তমানে তালহা ইসলাম সংবাদের শিরোনাম হবার পর তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে এবং বিশ্বস রক্ষা করে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
হ্যাপীর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
হ্যাপী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “বানানো নয়, আমি তার কাছে কিছু প্রমাণ সচিত্র তুলে ধরেছি। যদি কেউ হাজির হয় তাহলে সে যেন এই নয়টি বিয়ের মধ্যে কোনটি মিথ্যা নয় সৎভাবে কথা বলেন।” এতে বোঝা যায়, হ্যাপী সত্যি ঘটনা প্রকাশ করতে চান এবং সমাজের মানুষের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরতে চান।
সাংবাদমাধ্যমে প্রভাব
এই ঘটনার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং জনপ্রিয়তা অর্জনকারী হ্যাপী দাবি করেছেন যে তিনি নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নতুন চেতনা নিয়ে এসেছেন। তার কাহিনির মাধ্যমে পরিষ্কার হয় যে এখনও সমাজে নারীরা কতটা নির্যাতন সহ্য করছেন, এবং তাদের মানবাধিকারের কি অভাব রয়েছে।
বিশেষ প্রতিবেদন
নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে, সরকারের উচিত হবে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজন হলে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে এ ধরনের অভিযান এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
নারী ও শিশু অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে নিম্নরূপ সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে:
- আইনগত সহায়তা কেন্দ্র
- জাতীয় মহিলা আইন সেবা কেন্দ্র
সরকারি পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে একদিন নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
FAQ
- নাজনীন আক্তার হ্যাপী কেন এতদিন চুপ ছিলেন?
- হ্যাপী জানিয়েছেন যে তিনি বরাবরই ভীতির কারণে চুপ ছিলেন, কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর তাকে মুখ খুলতে হয়েছে।
- তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কি?
- হ্যাপী তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
- মুফতি তালহা ইসলাম কতগুলো বিয়ে করেছেন?
- তালহা ইসলাম অভিযোগ অনুযায়ী মোট ৯টি বিয়ে করেছেন।
- হ্যাপীর নিরাপত্তার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
- হ্যাপী জানিয়েছেন যে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
- এই ঘটনা থেকে মহিলাদের কি শিক্ষা নেওয়া উচিত?
- মহিলাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং কোন নির্যাতন সহ্য না করার শিক্ষা গ্রহন করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।