জুমবাংলা ডেস্ক : সৌদি আরব থেকে ফিরল আরও এক নারী শ্রমিকের মৃতদেহ। অমানুষিক নির্যাতনে নাজমা নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছেন নাজমার পরিবার।
মৃত্যুর আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনালাপে নিহত প্রবাসী শ্রমিক নাজমা বলেন, আমি জায়গায় মরে যামু। আমি আর কুলাতে পারছি না। আমি মরে গেলে তো আমার পোলা-মাইয়ার চেহারাও দেখতে পামু না। আল্লাহ আমি এখন কি করমু?
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নাজমার ছিল আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি। ছিল দেশে ফেরার শতচেষ্টা।
সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে যাওয়া মানিকগঞ্জের নাজমা শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ঠিকই। কিন্তু জীবিত নয়, কফিনবন্দি হয়ে।
স্বজনরা জানান, স্থানীয় এক দালাল ক্লিনিকের চাকরির ভিসার কথা বলে নাজমাকে বিদেশে নিয়ে গৃহকর্মীর কাজে যুক্ত করে। এতে অস্বীকৃতি জানানোই কাল হয়ে যায় নাজমার। শুরু হয় যৌন হয়রানি আর অমানুষিক নির্যাতন। পরে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে নানা ভাবে বাধা দেয় সেই দালাল।
নাজমার পরিবারের এক সদস্য বলেন, তাকে নানা ধরনের প্রস্তাব দিত। তা না মানায় নানাভাবে তাকে নির্যাতন করা হত। ও শুধু বলত, বোন আমাকে বাঁচা।বৃহস্পতিবার রাতে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগিতায় দেশে আসে নিহত নাজমার মরদেহ। পরে ৩৫ হাজার টাকার সরকারি সহযোগিতাসহ মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয় পরিবারের কাছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন নাহিদ বলেন, তাদের কর্মপরিবেশ খুব এক নিরাপদ না হওয়ায় এমনটা ঘটছে। যারা পাঠাচ্ছেন তাদের এদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির তথ্য বলছে, চলতি বছরে প্রবাসে কর্মক্ষেত্রে প্রাণ হারানো ১১৯ জন নারীর মরদেহ এসেছে দেশে। নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবিত ফিরেছেন ৮৫০ জন নারী শ্রমিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।