স্যামসাং, অ্যাপল এবং শাওমির নির্মাণ করা স্মার্টফোন মার্কেটে সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এরকম অবস্থায় ইউরোপের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। ইউরোপের গ্রেট মোবাইল ব্র্যান্ড নোকিয়া, ফেয়ার ফোন ও নাথিং টপ সেলিং লিস্টে জায়গা পেতে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে।
নাথিং স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। সুইডেনের উদ্যোক্তা Carl Pei ২০২০ সালে নাথিং স্মার্টফোনের উৎপত্তি ঘটন। নাথিং এবং নোকিয়া স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা সংঘটিত হচ্ছে।
প্রথমে এয়ারবাড বাজারে রিলিজ করার মাধ্যমে নাথিং কোম্পানির ফ্যানবেজ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে বৈচিত্রে ভরা ফিচার নিয়ে তারা নাথিং স্মার্টফোন ওয়ান বাজারে রিলিজ করে। তাদের অনেক আইডিয়া নোকিয়ার সাথে মিলে যায়।
লন্ডন ভিত্তিক টেক কোম্পানি নাথিং স্মার্টফোন ও টেকনোলজির মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। তবে বাজারে ছাড়া তাদের প্রথম স্মার্টফোন সবদিক থেকে পারফেক্ট না হওয়ায় সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
অনেক ক্রেতারা উন্নত হার্ডেওয়ার বিশিষ্ট চকচকে স্মার্টফোনের চেয়ে ভালো দামে ফাংশনিং স্মার্টফোনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। কোম্পানিটি জানিয়েছে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সমস্যাগুলির সমাধান করবে।
এ দিক থেকে নোকিয়া কিছুটা এগিয়ে আছে। উদাহরণ হিসেবে নোকিয়া এক্স থার্টি মডেলের স্মার্টফোনের কথা বলা যায়। এ মোবাইলটি ভালো দামে ফাংশনিং স্মার্টফোন হিসেবে কাজ করছে।
তাদের সার্ভিস সাপোর্ট উন্নত মানের, ওয়ারলেস চার্জিং ফিচার রয়েছে, মেমোরি স্পিড সন্তোষজনক ও হাই কোয়ালিটির ডিজাইন অফার করে। নাথিং ফোনের সমস্যাগুলি এখানে নেই।
ইউরোপের বাজারে যেসব ক্রেতারা ভালো দামে ফাংশনিং স্মার্টফোন ক্রয় করতে চান তাদের জন্য nokia x30 মডেলের হ্যান্ডসেটটি উত্তম হবে। কেননা নির্ভরযোগ্য ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডের মধ্যে নোকিয়া অন্যতম।
টেকসই স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসার জন্য নোকিয়া জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে নাথিং স্মার্টফোন নোকিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন যে, নোকিয়া তার গুণগত মান উন্নত করার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ উত্তরে যেতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।