জুমবাংলা ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ২৪ শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে ১২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের একজন মরিয়ম রুবি, যিনি নানার মৃত্যুর খবরেও অনশন ভাঙেননি।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মরিয়মের এক সহপাঠী জানান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। অবস্থা গুরুতর। এদিকে নানার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মরিয়ম আরও ভেঙে পড়েছেন। তারপরও অনশন ভাঙেননি। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন মরিয়ম।
শিক্ষার্থীদের অনশনের প্রায় ৭০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। অনশনরত সব শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে ১৪ জনকে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়ে আবারও অনশনস্থলে এসে যোগ দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. মোস্তাকিম জানান, এখানে ১২ শিক্ষার্থী অনশনে আছেন। তাদের মধ্যে কারও গ্লুকোজ লেবেল কমে গেছে। কারও ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। আমরা তাদের স্যালাইন দিয়েছি। যারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এসেছি। ১৫ জন চিকিৎসক তাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
মেডিক্যালে ভর্তি অনশনরত শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাত বলেন, যতদিন উপাচার্য পদত্যাগ না করবেন, ততদিন অনশন করে যাবো। কেউ মনে করবেন না মেডিক্যালে এসে অনশন ভঙ্গ করেছি।
অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আট জন। যত কষ্টই হোক, যত ত্যাগই স্বীকার করতে হোক, এই নির্লজ্জ ও বেহায়া ভিসির পদত্যাগের আগপর্যন্ত আমরা অনশন করে যাবো।
এদিকে শাবিপ্রবির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন পাঁচ শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল। শুক্রবার রাতে শাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলেও ঢাকায় গিয়ে আলোচনায় বসা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারা ঢাকায় আসতে পারবেন না বলে জানান।
এর আগে, শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এতে সম্মতিও জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা। তবে ভার্চুয়ালি কিংবা সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।