জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালী সদর উপজেলার এজবালিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম (৮২)। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এই বয়সে রিকশা চালিয়ে জীবিকার্জন করেন তিনি। কিন্তু দুঃখের বিষয় উপার্জনের একমাত্র প্যাডেল রিকশাটি চুরি হয়ে গেছে তার। নামাজ পড়তে গিয়ে একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। যেন মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়েছে। চ্যানেল ২৪ এর প্রতিবেদক সুমন ভৌমিকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
শনিবার (২ জুলাই) রাতে বৃদ্ধ তাজুল ইসলাম বলেন, ৬ মেয়ে আর একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে তার সংসার। ৩০ বছর ধরে প্যাডেল রিকশা চালাচ্ছিলেন তিনি। প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় হতো। রিকশা চালিয়েই মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী ছেলের বয়স ৪৫ বছর। কথাগুলো বলতেই হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, গত মে মাসের ২৫ তারিখে নোয়াখালী পৌরসভার পাশে রিকশা রেখে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়ে এসে দেখি রিকশা নেই। চুরি হয়ে গেছে। কোনো দিন কারও কাছে হাত পাতিনি। এখন সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সামনে ঈদ। কীভাবে কি করব বুঝতে পারছি না।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ডান চোখে দেখতে পারি না। গত একমাস রিকশা না চালাতে পেরে লাখ টাকার মতো দেনা হয়ে গেছে। এদিকে তার শরীরটাও কিছুটা খারাপ। সবমিলিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপে দিন কাটছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করতাম। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।