জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক (পকেট গেইট সংলগ্ন) এলাকায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এসময় যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় বেশ কিছু নামি-দামি রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি মনিটরিং টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নিম্নমানের কাঁচামালসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। মনিটরিং টিমের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মোল্লা, মেহরিন যারিন তাসনিম ও অন্যান্য সহায়কগন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেইজে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
যেসব রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেগুলো হলো-মেজ্জান হাইলে আইয়্যুন, ডোমিনো’জ পিজ্জা, আরমানি লাউঞ্জ, জাফরান রেস্টুরেন্ট ও আমেরিকান বার্গার । এসব রেস্টুরেন্টের মধ্যে শুধুমাত্র ডোমিনো’জ পিজ্জা-র সার্বিক অবস্থা সন্তোষজনক বলে জানানো হয়।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে যে চিত্র উঠে এসেছে তা জানলে অনেকেই আঁতকে উঠবেন। অভিযানে নামি-দামি এসব রেস্টুরেন্টে পচা খাবার বিক্রি, ফ্রিজ অত্যন্ত নোংরা, ফ্রিজে প্যাকেটবিহীন খোলা খাবার সংরক্ষণ, খাবার গরম করার ক্ষেত্রে, পোড়া তেলের ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিময়ের চিত্র উঠে আসে।
জুমবাংলার পাঠকদের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পেইজে পোস্ট করা সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
মনিটরিংকৃত এলাকা – যমুনা ফিউচার পার্ক (পকেট গেইট সংলগ্ন), জগন্নাথপুর
মনিটরিং টিম- মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মোল্লা, মেহরিন যারিন তাসনিম ও অন্যান্য সহায়কগন
মনিটরিং বিবরণী-
১. মেজ্জান হাইলে আইয়্যুন:
সার্বিক চিত্র:
১। মাত্রাতিরিক্ত তেলে রান্না ও রান্না শেষে ভাসমান তেল তুলে রাখা।
২।তুলে রাখা তেল, খাবার পুনরায় পরিবেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
৩। খাবার গরম করার ক্ষেত্রে, পোড়া তেলের ব্যবহার
৪। রান্নাঘরের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা
ব্যবস্থাপনাসমূহ:
১। প্রাথমিক মুল্যায়ন শেষে C গ্রেডের রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিতকরণ
২। ৫ কেজির অধিক পোড়াতেল জব্দ ও ধ্বংস
৩। গ্রেড উত্তীর্ণের জন্য ১ মাস সময় প্রদান
২. ডোমিনো’জ পিজ্জা
সার্বিক চিত্র:
১. সার্বিক অবস্থা সন্তোষজনক
ব্যবস্থাপনা:
১। প্রাথমিক মূল্যায়ন শেষে A+ গ্রেডের রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিতকরণ
৩. আরমানি লাউঞ্জ
সার্বিক চিত্র:
১। বেশিরভাগ খাবারের তারিখ ট্যাগ নেই।
২। লেবেলবিহীন নিম্নমানের বেশকিছু রান্নার কাচামাল পাওয়া যায়
৩। যথাযথ নিয়মে খাবার সংরক্ষণ করা হয়
৪। আগের দিনের বেচে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার ব্যবস্থাপনা সসম্পর্কিত লিখিত তথ্য নেই। তবে ফ্রিজে আগের দিনের অতিরিক্ত কোনো খাবার পাওয়া যায় নি।
ব্যবস্থাপনাসমুহ :
১। বেচে যাওয়া খাবারের তালিকা সংরক্ষণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়
২। নিম্নমানের কাচামাল ব্যবহারে সচেতন করা হয় ও প্রাপ্ত কাচামালসমূহ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়
৩।প্রাথমিক মূল্যায়ন শেষে, A গ্রেডের রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৪। জাফরান রেস্টুরেন্ট ( পচা খাবার বিক্রির অভিযোগ রয়েছে)
সার্বিক চিত্র:
১। রান্নাঘর অত্যন্ত নোংরা
২। ফ্রীজ ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত নিম্নমানের
৩। ফ্রীজে সংরক্ষণ করা কাচা মাংসে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে
৪। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়
ব্যবস্থাপনাসমুহ :
১। ৩০ কেজি মাংস জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
২। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে সকল ডকুমেন্টসসহ আগামী ০২-০৪-২০২৩ তারিখ বিএফএসএ প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
৫. আমেরিকান বার্গার
সার্বিক চিত্র:
১। ফ্রিজ অত্যন্ত নোংরা, ফ্রিজে প্যাকেটবিহীন খোলা খাবার সংরক্ষণ করা হয়
২। ফ্রিজ ব্যবস্থাপনা নিম্নমানের। খাবারের গায়ে ফ্রীজের নোংরা ময়লা জমে থাকতে দেখা যায়।
৩। নন ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়
ব্যবস্থাপনাসমূহ
১। এই মূহুর্তে হোটেল-রেস্তোরা গ্রেডের আওতায় নেয়ার অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়
২। সংশোধনের জন্য একমাস সময় প্রদান করা হয়।
৩। ময়লা জমে থাকা খাবারসমূহ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।