বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্র নায়ক ফারুক ছাত্র রাজনীতি করলেও কখনো পদ-পদবির লোভ ছিল না। সে ছিল দলের একজন একনিষ্ঠ একজন কর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী, ৬ দফার কর্মী। সে ছিল অত্যন্ত মেধাবী ও সাহসী।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চিত্র নায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তাঁর ভগ্নিপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবিএম মফিজুর রহমান খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন। ওই আন্দোলনে আমার তখন জগন্নাত কলেজের হয়ে ঢাকা শহরে নেতৃত্ব দিতে হয়। ওই সময় আমার যত বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকুল অবস্থা ছিল, তখন আইয়ুব সরকারর ও তার গোন্ডা বাহিনীকে প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করার জন্য ফারুককে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে চলে আসতো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবিএম মফিজুর রহমান খান আরো বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে নায়ক ফারুকের ভূমিকা ছিল দুঃসাহসিক। আমাকে সে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করতো। পাশাপাশি খুব মজাও করতো আমাকে নিয়ে। যখনই আমি তার কাছে যেতাম তখনই মজা করে বলতো ‘ওই যে আমাদের নেতা জি সুভাষ চন্দ্র এসেছেন’।
উল্লেখ্য, নায়ক ফারুক গত ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাড়ে ৯টায় ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নায়ক, এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।