জুমবাংলা ডেস্ক : নারীঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন বন্ধু মিলে দরিদ্র নৌকাচালক সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ি গ্রামের নাসির বোস্তামি ছেলে বাইজিদ বোস্তামিকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে। নাসির বোস্তামি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার লিটন কুমা রসাহা জানান, গত ২৬ আগস্ট সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের আননদনগর গ্রামের কদম আলীর ছেলে আরজু ফকির বিলদহর ঘাট থেকে যাত্রীসহ নৌকা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফিরায় স্বজনরা খোঁজ খবর নিতে থাকেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা নামক স্থান থেকে নৌকার সন্ধান পাওয়া যায়। তবে নৌকা চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ২৮ আগস্ট গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা বিল থেকে আরজুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরজুর পিতা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং স্থানীয় লোকজনদের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ গত রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে বাইজিদ বোস্তামিকে আটক করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বায়েজিদ হতাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন।
পুলিশ সুপার জানান, ৭/৮ মাস আগে একটি মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে আরজু, তার লোকজন বাইজিদ ও তার দুই সহপাঠি বন্ধুকে ধাওয়া করে। এসময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুদের পরামর্শে বায়েজিদ গত ২৬ আগস্ট সিংড়ার তিশিখালী মাজারে যাওয়ার কথা বলে বাইজিদের নৌকা ভাড়া করে। এরপর নৌকা নিয়ে হরদমা সকালে যায়। সেখানে অপক্ষমান দুই বন্ধু নৌকায় উঠে। এসময় আরজু ঘাবরে গিয়ে জানায় তোরা এখানে কেন? উত্তরে তারা জানায় বিলসাতে পিকনিকের কথা রয়েছে। সেখানে আরো কিছু বন্ধু আসবে। আমরা সারা রাত পিকনিক করব। এরপর নৌকাটি জলার মুখে পৌঁছালে বাইজিদ ও তার বন্ধুরা নৌকা বন্ধ করে দেয় এবং রশি দিয়ে আরজুকে নৌকার কাঠের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আরজু ফোনে একজনকে জানায় আমি খুব বিপদে আছি। আমারে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাও। এসময় অপর বন্ধু বলে তুইতো খুব শক্তিশালী, মনে আছে আমাকে লাথি মেরেছিলি। এরপর কুড়াল দিয়ে তার মাথায় ৩/৪টি আঘাত করে। আরজুর মুত্যু হলে তার লাশ পানিতে ফেলে দিয়ে তারা নৌকা নিয়ে হরদমায় ফিরে এসে যার যার বাড়িতে চলে যায়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।