আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের ভিয়েনা সংলাপে ইরানের প্রধান আলোচক ও উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি বলেছেন, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার শিকার অন্য দেশগুলো ইরানের কাছ থেকে ‘নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করার অভিজ্ঞতা’ অর্জন করার চেষ্টা করছে। তিনি রোববার তেহরানে অনুষ্ঠিত ২৬তম বার্ষিক তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল মেলায় অংশ নিয়ে একথা জানান। খবর পার্সটুডে’র।
আলী বাকেরি বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের শাসনামল থেকে নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দেয়ার জ্ঞান অর্জন করেছে ইরান। এর পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যত বেশি পন্থায় নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে ইরান তত বেশি কৌশলে সেসব নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তার দেশ যেমন আন্তরিক তেমনি শত্রুর প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করা এবং তাদের ওপর আস্থা না রেখে নিজস্ব উপায়ে নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দেয়ার কাজেও তেহরান দৃঢ়সংকল্প।
বাকেরি কানি বলেন, একদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য যথাসাধ্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্যদিকে ইরানের জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় কীভাবে জ্বালানী রপ্তানে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় সে লক্ষ্যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্বশেষ তালিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় উঠে এসেছে ইরান। দেশটির আগে আছে মাত্র ১৯টি দেশ। আইএমএফের তালিকায় ২০তম অবস্থানে উঠে এসেছে ইরান। কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অর্থনীতির আকার বিচারে পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশের চেয়েও ইরান এখন এগিয়ে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।