‘আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে বসে বিদেশি চ্যানেলে টক শো দেয়, অথচ দেশের চ্যানেলে তাদের হয়ে কেউ একটা শব্দও উচ্চারণ করে না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় অন্যায় কর্মকাণ্ডের কারণেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’ সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
এক ভার্চুয়াল কথোপকথনে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বলেন, ‘তারা যেটা করেছে এটা সভ্য দেশে কোনো সরকার করতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতাদের বিদেশে বসে বিদেশি চ্যানেলে টক শো করা ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেদের অবস্থানও জানাচ্ছেন না তারা। দেশের মাটিতে সুশীল বুদ্ধিজীবী যে আওয়ামী লীগের লেজ ধরে গত ১৭ বছর আমাদের বিরুদ্ধে যা-তা করেছে, আজ তারা কোথায়? অনেক টেলিভিশনের টক শোতে আমরা দেখেছি যে একজন বিএনপি, একজন আওয়ামী লীগ পদধারী নেতা, সেই সঙ্গে একজন আওয়ামী লীগ বংশীবাদক থাকত।
সে বংশীবাদকটি কোথায় এখন? আমি গত ১০ মাসে একজন বংশীবাদকেরও দেখা পেলাম না যে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকেও আওয়ামী লীগের পক্ষে দুটো কথা বলবে।’
দলের জন্য মবের শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। যদি কেউ দেশের টকশোতে কথা বলতে চায়ও, তাহলে মবের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নে রুমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা সময় বিএনপির পক্ষে কথা বলার মতো পরিবেশ ছিলো না।
পুলিশের মামলা হামলা গুম মিথ্যা মামলা কারাগারে নেয়া কেউ কথা বলতে পারতো না। কিন্তু তারপরেও কিন্তু বিএনপির একজন না একজন প্রেজেন্ট থাকতো টকশোতে। উদাহরণস্বরুপ, আমি ২০১২ সাল থেকে লাগাতার বিএনপির পক্ষে বলে গেছি। আমরা দেখেছি পিয়াস করিম স্যার সেই সময় ভীষণ ভোকাল ছিলেন। সেই সময় আমার আরো কিছু সহকর্মীর কথা বলতে পারি, যারা কিন্তু লাগাতার কথা বলে গেছে।’
দেশের মাটিতে থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাদের টক শোতে হাজির না হওয়ার কারণ হিসেবে রুমিন ফারহানা বলেন, “তারা স্বীকার করুক আর না করুক, তারা যেটা করেছে সেটা আসলে কোনো সভ্য দেশে একটা ক্ষমতায় থাকা সরকার করতে পারে না। তারা এটা ভালো করেই জানে। এখন অনেকেই বলবেন যে ওই রকম একটা ঘটনা যেটা দেড় মাসে হাজার মানুষকে মেরে ফেলা, জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে। কিংবা ধরুন ২০ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে যাওয়া। তো এ রকম ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের যারা যে কয়জন দেশেও আছে তারা সত্যি তাদের তো মানে ভয় না থাকলেও ভয় পাওয়ার কথা। যদি কোনো ভয় না-ও থাকে, তারপরও ভেতর থেকেই তাদের একটা ভয় থাকার কথা যে ‘ও মাই গড! আমাদের নেত্রী পালিয়ে গেছেন।’ এবং দেখুন গিয়ে তার মধ্যে কোনো রকম অনুশোচনা, কোনো রকম দ্বিধা, কোনো রকম কিছু নেই। তিনি মাথা গুনছেন যে অমুক তমুককে ফাঁসি দেব। আসলে একটা পলিটিক্যাল দল তো এমন হওয়ার কথা না।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।