আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিল ৪৫ বছরের বীরবল বড়ো নামে এক ব্যক্তি। তার থেকে মুক্তি পেতে নিজের দুই বছরের মেয়েকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলল সে। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আসামের বাকসা জেলার তামুলপুর এলাকায়।
মৃত শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বীরবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নামে হত্যামামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিল বীরবল। অনেক ডাক্তার দেখালেও কেউ কিছু করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার কারণে মানসিক ভারসাম্যহীনও হয়ে পড়েছিল সে। শনিবার সন্ধায় ২ বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে বেড়িয়েছিল। আর তখনই নিজের রোগমুক্তির জন্য ছোট্ট শিশুকন্যা নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে বীরবলের স্ত্রী জুনু বড়ো উল্লেখ করেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল বীরবল। পরে একাই বাড়ি ফিরে আসে। মেয়ে কোথায় গেল তা জানতে চাইলে প্রথমে কোনো উত্তর দিতে চায়নি সে। পরে জানায় নিজের শিশুকন্যাকে সে স্থানীয় বোরলা নদীতে ফেলে দিয়ে এসেছে।
একথা শুনেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স(এসডিআরএফ)-এর দফতরে ফোন করে সাহায্য চান জুনু। সঙ্গে সঙ্গে এসডিআরএফের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন। যদিও ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছে মেয়েটি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরায় বীরবল জানিয়েছে সৃষ্টিকর্তা তার স্বপ্ন এসে এই কাজ করার নির্দেশ দেন। তাই সেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বীরবলের মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগে কোনো গনক তাকে এই পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে তামুলপুর এলাকায়। আটক বীরবলের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।