গাজায় বিস্ফোরণে ইসরাইলি সেনাদের মৃত্যুতে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করা এক সংবাদিকের আটকের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইসরাইলি আদালত। ভুক্তভোগী ওই ইসরাইলি সংবাদিকের নাম ইসরাইল ফ্রে। খবর আরব নিউজ
গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করায় প্রায়শই ফ্রে-কে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া এবং সমর্থন করার’ অভিযোগে তেলআবিব ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আটক রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে উত্তর গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে বিস্ফোরক ডিভাইসে নিহত পাঁচ ইসরাইলি সেনার কথা উল্লেখ করে ইসরাইল ফ্রে এক এক্স পোস্টে লেখেন, ‘মানবতাবিরোধী নিষ্ঠুরতম অপরাধের একটিতে অংশ নেওয়া পাঁচ তরুণকে ছাড়া আজ সকাল থেকে পৃথিবী আরও ভালো আছে। ’
তিনি লেখেন, ‘দুঃখের বিষয়, গাজায় এখন অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে ছেলেটির, অনাহারে মারা যাচ্ছে মেয়েটি এবং বোমাবর্ষণের কবলে পড়ে থাকা পরিবারটি – এগুলো কী যথেষ্ট নয়?’
তিনি আরও লেখেন, ‘প্রত্যেক ইসরাইলি মায়ের প্রতি আহ্বান: যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কফিনে করে আপনার ছেলেকে গ্রহণ করার জন্য পাশে থাকবেন না। প্রত্যাখ্যান করুন। ’
ফ্রে-কে এর আগেও তার এসব সমালোচনামূলক পোস্টের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত মার্চে ফিলিস্তিনপন্থি বেশ কয়েকটি পোস্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
তিনি এর আগে একবার লেখেন, ‘যে ফিলিস্তিনি একজন আইডিএফ সৈন্য বা বসতি স্থাপনকারীকে আঘাত করে সে সন্ত্রাসী নয় এবং এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলাও নয়। ন্যায়বিচার, মুক্তি এবং স্বাধীনতার জন্য দখলদারের বিরুদ্ধে লড়াই করা এক বীরত্বের কাজ। ’
২০২২ সালের ডিসেম্বরেও তাকে এমনই পোস্টের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যেখানে তিনি লেখেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করা সন্ত্রাসবাদ নয়’। একই সঙ্গে আক্রমণের পরিকল্পনাকারী একজন ফিলিস্তিনিকে ‘নায়ক’ বলেছিলেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের প্রায় এক সপ্তাহ পরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় ফ্রে’র বাড়িতে অতি-কট্টরপন্থি ইসরাইলি সেনারা আক্রমণ করে। সে সময় তিনি আত্মগোপন করেন এবং পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার তিনি ইসরাইলি সংবাদপত্র হারেৎজকে বলেন, নিপীড়নের কাছে তিনি ‘মাথা নত করবেন না’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই যথেষ্ট যন্ত্রণা, রক্তপাত এবং অশ্রুপাত করেছি। গাজাকে মুক্ত করুন। যথেষ্ট হয়েছে। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।