দেহের বৃদ্ধি শুধু কোষ বিভাজনের জন্য হয় না। আর দ্বিতীয়ত, কোষ বিভাজন শরীরের ডিএনএর বেশ কিছু জিনের কোড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২০–২৫ বছর পর্যন্ত। হাড়ের গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহের বৃদ্ধি ঘটে। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের পর এই বৃদ্ধি আর ঘটে না।
তবে হাড়ের বা শরীরের কোনো অংশের সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন সেল বিভাজন বা গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধি ঘটে। কোষ বিভাজন জন্মের প্রথম কয়েক বছর প্রয়োজনীয় মাত্রায় চলতে থাকে। তবে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে শরীরের কোন অঙ্গ বা পেশি কতটা বাড়বে, তা জেনেটিক কোডে নির্ধারিত থাকে।
সে অনুযায়ী কোষ বিভাজন অব্যাহত থাকে। এরপর কোনো কারণে সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন সেল সৃষ্টি হয়। এটা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত কোষের স্থান পূরণের জন্য। সুতরাং এক অর্থে কোষ বিভাজন সারা জীবন চললেও সারা জীবন দেহের বৃদ্ধি ঘটে না। কোষ বিভাজনের জন্য নির্দিষ্ট ডিএনএ কোড খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এর কারণেই মানুষের নাক, চোখ, কান, হাতের আঙুল প্রভৃতি কোনটা কত বড় হবে, তা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় থাকে। এ না হলে এক একজনের কান হয়তো হাতির কানের মতো বিশাল আকার হয়ে যেত বা ইঁদুরের মতো ছোট্ট হতো। তাহলে তো কারও দেহের গঠনে ভারসাম্য থাকত না।
আবার কোনো কারণে যদি দেহের কোনো অঙ্গের কোষ বিভাজনের নির্দিষ্ট কোড নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে অবিরাম কোষ বিভাজন হতে থাকে। এটাই আসলে ক্যানসার। এই ভয়াবহ রোগের সুনিশ্চিত চিকিৎসা এখনো বের হয়নি, যদিও প্রথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।