জুমবাংলা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৩৮৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও বিচারক।
গতকাল (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তা কমিশনের সংবিধান সম্মত তফসিলকে একতরফা আখ্যায়িত করে তা বাতিলের জন্য যে সুপারিশ করেছেন, তা সর্বসাধারণের কাছে বোধগম্য নয়। বিবৃতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় প্রবর্তনের বিষয়ে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো দলের একক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও দাবিকে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ বলে চালিয়ে দেয়া ‘একতরফা’ বিষয়। তাছাড়া বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি, যাতে এর প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রয়াস বাংলাদেশকে একটি সাংবিধানিক শূন্যতার দিকে ঠেলে দেয়ার নামান্তর।
‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে প্রাথমিকভাবে বিতর্কিত করেছে এবং ২০০৬ সালে বিবিধ পদক্ষেপের মাধ্যমে এক-এগারোর সৃষ্টি করে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দুই বছরের দীর্ঘ একটি অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। জনগণের এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নবম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে,’ উল্লেখ করা হয় এই বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিধিসম্মত তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন, যেখানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণের উন্মুক্ত সুযোগ বিদ্যমান, তাকে ‘একতরফা তফসিল’ বলার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বিবৃতি দেয়া বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাবেক জেলা জজ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য জেসমিন আরা বেগম, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
বিবৃতিতে সই করা সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন-লেঃ জেনারেল (অবঃ) মোল্লা ফজলে আকবার, লেঃ জেনারেল (অবঃ) আব্দুল ওয়াদুদ, লেঃ জেনারেল (অবঃ) আব্দুল ওয়াদুদ এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ আব্দুর রশিদ।
এর আগে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) তফসিল বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন ১৪১ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।