বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ অনুসারে ‘পর্যবেক্ষক সংস্থা’ হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী যোগ্যতাসম্পন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (২৭ জুলাই) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্মাক্ষরিত এই বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যোগ্যতাসম্পন্ন সংস্থাগুলোকে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী ৫ বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হবে। নিবন্ধিত সংস্থাগুলো এই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন (জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন) পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আগামী ১০ আগস্ট অফিস সময় বিকাল ৫টার মধ্যে নির্ধারিত ফরমে (ইও-১) সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর আবেদন দাখিল করতে হবে।
আবেদন ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখায় (কক্ষ নং-১০৫) এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd তে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে আবেদনের জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে, সেগুলো হলো— আবেদনকারী সংস্থাকে বাংলাদেশের কোনো আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে; গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এই সকল বিষয়সহ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রয়েছে কেবল সেই সকল বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন লাভের জন্য আবেদনকৃত সময়ের মধ্যে কোনও নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী এইরূপ কোনও ব্যক্তি যদি পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনকারী কোনও সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকেন, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন উক্ত সংস্থাকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন করা হবে না।
এছাড়া, আবেদনকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো সদস্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় মর্মে আবেদনের সাথে লিখিত হলফনামা জমা দিতে হবে; নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যার নামের সাথে জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের হবহু মিল রয়েছে অথবা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হয়েছে যাহা দ্বারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে; এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে; নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক এমন কোনও প্রতিষ্ঠান যার নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক কোনও প্রতিষ্ঠানের নামের হবহু মিল রয়েছে অথবা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হয়েছে; যা দ্বারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানকে ওই আন্তর্জাতিক। আঞ্চলিক সংস্থা হতে লিখিত অনাপত্তিপত্র আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এছাড়াও আবেদনের সঙ্গে যেসব দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে সেগুলো উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সেগুলো হলো: সংস্থার গঠনতন্ত্র (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে); সংস্থার বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড বা পরিচালনা পর্ষদ বা কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত); সংস্থার নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক); সংস্থার নিবন্ধিত অফিসের নাম ও ঠিকানা (পরিবর্তন হলে তার স্বপক্ষে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে); নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা; নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কার্যাবলীর তালিকা; সর্বশেষ দুই বছরের সম্পাদিত কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং দেশীয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনাপত্তিপত্র।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ এবং নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর প্রাপ্ত আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখায় (কক্ষ নং-১০৫) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।