নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: রাজনীতির নামে সভা-সমাবেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু হবে। যারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে তাদের সেই ঘোষণা বেআইনি।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি আলমগীর।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কি কি কাজ করছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ, প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসাররা যখন যেখানে প্রয়োজন হবে তারা সেখানে মুভমেন্ট করবেন।
ইসি বলেন, নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়িয়েছে। তারপরও কেউ কোনো ধরনের নাশকতা করতে চাইলে তারা ধরা পড়ে যাবেন। এখন প্রযুক্তির যুগ। কেই যদি নাশকতা করে মনে করেন আমি ধরা পরবো না, বেঁচে যেতে পারবো, সেটা এখন আর সম্ভব নয়।
নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি-না তার জবাবে কমিশনার বলেন, যে কোনো কাজেরই চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কাছ আছে বলে মনে করি না। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য আমাদের আছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। তারা এমন পরিবেশ তৈরি করে দেবেন যাতে সকল ভোটার আনন্দ উৎসাহের সঙ্গ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এজন্য সকলের মতামত শুনেছি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো গুজবে কান দিবেন না, গুজব ছড়াবেন না, গুরুত্বও দেবেন না। কেউ যদি গুজব ছড়ায় তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করছি।
মতবিনিময় সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।