জুমবাংলা ডেস্ক : শুক্রবার রাত! গৃহবধূকে নির্যাতনের পর জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়া হয়। গভীর রাতে ঘুম ভাঙলে পরে ওই গৃহবধূ দেখেন তার মাথার চুল ও ভ্রু কেটে নেয়া হয়েছে।
ভোরে পুলিশের সহযোগিতায় শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত এবং ডিভোর্সি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। অষ্ট্রিয়া প্রবাসী স্বামী সজিব মুস্তারি দেশে আসলে এর প্রতিবাদ করতে গেলেই নির্যাতন শুরু হয়।
দাম্পত্য জীবনের দুই সন্তানের এই জননী জানান, গত শুক্রবার রাতে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মারধরের পর জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে এলে দেখেন তার মাথার চুল ও ভ্রু কাটা। বিষয়টি ফোনে স্বজনদের জানালে তারা ভোর রাতে পুলিশ এনে তাকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, শহরের দুর্গাপুর মহিলা কলেজ এলাকার নজরুল বিশ্বাসের ছেলে সজিব মুস্তারির প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পর ওই গৃহবধূকে বিয়ে করেন।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সজিব মুস্তারির পরিবারের অর্থ-বিত্ত থাকায় তারা মানুষকে অমানুষ মনে করে। সবকিছুই অর্থ দিয়ে কিনতে চায়। আমার মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকেই অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সজিবের ছোট ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মীর্জা গালিব সতেজ বলেন, ভাই-ভাবীর মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ভাবী নিজেই নিজের চুল কাটা শুরু করে, যার কিছুটা আমার কাছে ভিডিও ধারণ করা আছে। ভাইকে ফাঁসাতে এসব নাটক করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত সজিব মুস্তারির ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ওইদিন ভোরে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে মাথা ন্যাড়া অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।