জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দি ভিডিও করে ছড়ানোর দায়ে আট বছরের জেল হয়েছে সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হয়েছে প্রত্যাহার হওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তার। জরিমানার এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। এমন অভিযোগের মুখে নুসরাতকে থানায় ডেকে নিয়ম ভেঙে জেরা করেন ওসি মোয়াজ্জেম। জেরাকালে তিনি নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি প্রকাশ হলে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতার অভিযোগ ওঠে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মৌখিক অভিযোগ নেয়ার সময় থানায় নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না। ওসির সামনে অঝোরে কাঁদছেন নুসরাত। সেই কান্নার ভিডিও করছেন ওসি। সেসময় নুসরাত তার মুখ দুই হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। তাতেও ওসির আপত্তি। বারবার তিনি বলেন, ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’। ভিডিওতে মোয়াজ্জেমকে এও বলতে শোনা যায়, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওসি মোয়াজ্জেম অত্যন্ত অপমানজনক ও আপত্তিকর ভাষায় নুসরাতকে একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। নুসরাতের বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্ন করতেও শোনা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।