Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home নুসরাত হত্যাকাণ্ডের এক বছর আজ, ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট ভাইয়ের
    ফেসবুক মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    নুসরাত হত্যাকাণ্ডের এক বছর আজ, ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট ভাইয়ের

    Shamim RezaApril 10, 20208 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের এক বছর হলো আজ। দেশের গণমাধ্যমে এ খবর হারিযে গেলেও হয়ত জেগে আছে কিছু মানুষের মনে। করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে আসলে পুরোনো খবর মনে করাও কঠিন। কারণ চারিদিকে আক্রান্তের আতংক আর মৃত্যুর আশঙ্কা।

    বোনোর মৃত্যুর এক বছর পর সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তাকে স্মরণ করলেন ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান। বোনের সঙ্গে তোলা একটি ছবিসহ দীর্ঘ পোস্ট করেছেন আবেগ জাড়িয়ে।

    জুমবাংলাডটকম পাঠকদের জন্য রায়হানের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

    দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেল। যদিও এই তিনশ পয়ষট্টি দিন আমাদের কাছে ছিল তিনশ পয়ষট্টিটি রক্তগঙ্গা পাড়ি দেওয়ার সমান। প্রতিদিন অবিরত অশ্রুর ধারা বয়ে গেছে নিরবধি। জানি না, আর কতদিন এই উপলব্ধি আমাদের তাড়িয়ে বেড়াবে।

    গত বছর ১০ এপ্রিল এই দিনে আমার আপু হায়েনাসদৃশ কিছু নরপশুর রক্তলোলুপতার শিকার হয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছে। সবাই জানেন, এর আগে জেলে থাকা সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজের নির্দেশে ৬ এপ্রিল নিজের মাদরাসায় আমার আপুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে নির্মমভাবে পুড়িয়ে দেয় খুনিরা। কিন্তু আমার বোন মাথা নত করেনি। আমার আপু হয়ে উঠেছিল বিদ্রোহী এক প্রতীক।

    আপুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আপুকে উৎসর্গ করে আমার লেখা।

    হে আপুনি! হায়েনাদের নিক্ষিপ্ত অগ্নিবাণের দুঃসহ যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়েছে আপনার সারা দেহ। আপনার অসহ্য শারীরিক ও মানষিক যন্ত্রণার অবসান করেছিল মৃত্যু এসে। কিন্তু আপনার এ মৃত্যু লাখো-কোটি মানুষের বিবেককে দিয়েছে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি। এ মৃত্যু বিবেকবান সকল মানুষকে করেছে হায়েনাদের প্রতি ক্রোধান্বিত, ক্ষুব্ধ।

    পাশাপাশি তাদের অন্তরকে করেছে বেদনায় ভারাক্রান্ত। আপনার এ মৃত্যু কাঁদিয়েছে সারা দেশকে। হে আপুনি, আপনার এ বিদায় সারাদেশসহ পৃথিবীর মানুষকে করেছে তীব্র শোকাকুল। অনেকেই জানিয়েছে মাতৃবিয়োগের মতো শোকের বেদনায় নিমজ্জিত ছিলেন তারা। তাদের অন্তরকে করেছে শূন্যতার হাহাকারে পরিপূর্ণ। আপনি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছেন আমাদের সাহসের আরেক নাম। বাংলাদেশের নিপীড়িত হাজারো অভাগীর কাছে হয়ে উঠেছেন বলিষ্ঠ প্রেরণা।

    হে আপুনি, আপনার হত্যাকারকদের উদ্দেশ্যে দেশবাসী দিয়েছে অভিশপ্ত, আর করেছে তাদের মনের ঘৃণার উদগীরণ। জীবনের পড়ন্ত বেলায় রোগ পীড়িত শরীরেও অনেকেই এসেছে আপনার জন্মভূমিতে, আপনার অন্তিম শয়ানের স্থান সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়ায়। আপনি প্রতিদিন যে পথে যেতেন আপনার বিদ্যাপীঠে, যে পথে ছিল আপনার চলাচল, বাড়ির আঙিনায় যেখানে নিত্য পড়ত আপনার পদচিহ্ন। সবাই হেঁটেছে সেসব পথে। যেন তারা খুঁজছে তাদের প্রিয় স্বজনকে। পেতে চেয়েছিল তারা আপনার স্মৃতির স্পর্শ।

    হে আপুনি, আপনি এক আত্মবিশ্বাসী, সাহসী প্রতীবাদী নারী। একথা প্রধানমন্ত্রীসহ আখ্যায়িত করেছে সকলেই। আপনি এ যুগের সুলতানা রাজিয়া, আপনি একালের বেগম রোকেয়া। আপনার সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ কত কথা যে বলেছে আপনার সঙ্গে। বেদনার নীল রঙে আর প্রচণ্ড আবেগে আক্রান্ত হয়ে এক বুক শূন্যতার হাহাকার নিয়ে উত্তর চরচান্দিয়া ছেড়ে লাখো মানুষ ফিরে গিয়েছে তাদের নিজ আবাসে। কিন্তু তারা আপনাকে একটুও ভুলেনি। আপনি মানুষের মনে আছেন চির জাগরূক হয়ে। এ দেশের প্রতিবাদী নারীদের তালিকায় লেখা রবে আপনার নাম।

    আপুনি, আমার হাতটা কাঁপছে, আর লিখতে পারছি না। আপনার অজস্র স্মৃতির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছি আমি। মাথার ভেতর তোলপাড় করছে ঘটনা প্রবাহ। ভেবে পাচ্ছি না কি লিখবো। বোধহয় এই লেখাটিতে আপনাকে কোনো সম্ভাষণ জানাতে পারলাম না। কারণ, আপনাকে কোন সম্ভাষণে সম্ভাষিত করবো আমি বুঝতে পারছি না। যাই করি না কেন তা আপনার জন্য অতি নগণ্য হয়ে যাবে আপুনি।

    আপনি বীরাঙ্গনার মতো জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। আপনার এই আত্মদান, এই লড়াইকে দেশবাসী ব্যর্থ হতে দেয়নি। আপনার খুনিরা সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসন, আদালত, পিবিআই, গোয়েন্দা পুলিশ, সাংবাদিক এবং দলমত নির্বিশেষে সারা দেশ এই অপরাধের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদে উচ্চারিত হয়েছে। জানি না আল্লাহর দরবারে সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝরালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার করলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে!

    আপুনি আপনার হত্যাকরকদের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। আপনাকে পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- আপনাকে বাঁচাতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য, আপনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তবে আপনার শেষ ইচ্ছার বাস্তবায়ন-খুনিদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বিচারালয়। নিম্ন আদালতের ফাঁসির রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে এ ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত চোখের জল নামিয়ে আপনার হত্যার বিচারের দাবিতে লাখো কণ্ঠের আওয়াজ বৃথা যায়নি।

    আপুনি, আপনি অমর হয়ে থাকবেন চিরদিন। মাদরাসার সামনে আপনার প্রতিকৃতি গড়ে তাতে জনগণ আজীবন শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। মানব ইতিহাসে সংযোজিত হবে আরেকটি যুগান্তকারী অধ্যায়। দেশ কাঁপানো প্রতিবাদি কন্যা হিসেবে আপনি আজ আখ্যায়িত। সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলে আজ আপনি চিরনিদ্রায় শায়িত। আপনার মতো হাজারো নুসরাতের সম্ভ্রম রক্ষা করতে আমরাও আজ প্রতিবাদী।

    আপু, গত বছরের এই দিনে কখন যে আপনি দুচোখ বন্ধ করেছিলেন বুঝতেই পারিনি। আপনাকে আজ মনে পড়ে- একথা বলবো না! বরং প্রতিদিন প্রতিক্ষণে আপনাকে মনে পড়ে। আপনার অভাব আমি সব সময় অনুভব করি। আপনাকে নিয়ে কিছু লিখতে বসলে, চোখে অশ্রু ধরে রাখতে পারি না।
    আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    একটি বছর কেটে গেল চোখের জল ও হৃদয়ের অবিশ্রান্ত রক্তক্ষরণে। আজও দুচোখে ভাসে আপনার শেষ দিনগুলোর নির্মম কষ্টের দৃশ্যটি। কতই বর্বর ও নিষ্ঠুর ছিল! সেই দিনই সব স্বপ্ন কাঁচের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। সেই দিন মনে হয়েছিল, আমি আপনাকে ছেড়ে হয়তো বাঁচবো না। সেদিন আকাশ ভারি হয়েছিল, মা-বাবা ভাইয়ার আহাজারিতে, হাসপাতালের ফ্লোরে পা দিয়ে আঘাত করেছিলাম। নিজের চুল নিজে ছিড়েছিলাম। কিন্তু আপনি জেগে ওঠেননি, আর সাড়া দেননি।

    আপনি, আমি না খুব নিষ্ঠুর হয়ে বুকে পাথর বেঁধে এখনো আপনাকে ছাড়া বেঁচে আছি। আপনি প্রায়শ বলতেন, মরে গেলে দেখবি আমাকে ছাড়া তোদের কি অবস্থা হয়? দেখছেন তো, এইবার তাহলে ফিরে আসুন আপু। জানি আপনি আর ফিরে আসবেন না। অকারণে তবু কেন আপনাকে কাছে ডাকি! আপনাকে আবারও ফিরে পাওয়ার সব যুক্তির কাছে যখন আমি হেরে যাই, তখন একটা আর্তনাদ ও অশ্রু ছাড়া আর কিছুই থাকে না।

    আপনি নেই আমাদের মাঝে অনুভব করতেই দম বন্ধ হয়ে আসে। আপনার মায়াভরা স্পর্শের ভালোবাসাটুকু পেতে দিবারাত্রিতে আমার বুকের গহীন উপকূল কেমন যেন পুড়ে পুড়ে যায়। মৃত্যুর যন্ত্রণা কত কঠিন, তা আপনাকে দেখেই বুঝেছি। আপনাকে হারানোর শোকটা কতটা কষ্টের তা পৃথিবীর কাউকে বোঝাতে পারবো না।

    যোগ্যতার বিচারে ফ্যামিলির সবার চেয়ে আপনি মেধাবী ও অনন্য। এভাবেই আপনি চিরবিদায় নিবেন তা একেবারেই কল্পনাতীত। এখনো ঘুমের ঘোরে জেগে উঠি আপনার শেষ দিনগুলির নির্মম কষ্টের কথা স্বপ্নে দেখে। স্বপ্নেই জেগে থাকবেন আপনি আমার মাঝে আজীবন, আপনার স্মৃতিভার আমি বয়ে যাব সারা জীবন। শেষ রাতে চোখে এক ফোঁটা ঘুম আসে না আপনার কথা ভেবে।

    জানো আপুনি এখন আমি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি। নিজের স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার অনেক অমিল তা এখন বুঝতে পারছি। চারদিকে অজস্র মিথ্যার ভিড়ে একটা সত্যের পেছনে ছুটছি নিরন্তর। পৃথিবীতে এত মানুষ কিন্তু একজন মানুষই মিলে না, যে কিনা আমাকে একটু অকৃত্রিম ভালোবাসা উপহার দেবে! আপু, ঠিক তখনই আপনার কথা মনে পড়ে আমার।

    আপুনি, আপনি আমার অস্তিত্বে মিশে আছেন। কত কত আনন্দের মুহূর্তে অবিচল থেকে আপনি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিতেন ভবিষ্যতের কথা। মাঝে মধ্যে আপনি যখন আমার ওপর রেগে যেতেন তখন বুঝতে পারতাম না, যে আপনার ওই সাময়িক রাগের ভেতরেও যে পরিমাণ ভালোবাসা লুকায়িত ছিল পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা জড়ো করলেও তার সমতুল্য হতে পারে না। আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা আমার কাছে অতুলনীয়।

    আপনার সঙ্গে পথ চলার সময়গুলোকে খুব অনুভব করছি। জীবন চলার পথে আপনার স্নেহের পরশেই বড় হয়েছি। এ ঋণ আমি মেটাবো কিভাবে! আপনি বিহীন প্রতিটি দিন ও মুহূর্ত ছিল বিষাদময়, প্রতিটি একাকিত্ব সময় ছিল হাহাকার ও অশ্রুসিক্তে ভরা। প্রতিটি রাত ছিল নির্ঘুম ও আপনাকে কাছে না পাওয়ার অতৃপ্ত যন্তণার!

    আপনার ভালোবাসা, আপনার স্নেহ, আপনার আদর আজও আমার স্মৃতিতে সতেজ হয়ে ভাসে। সারা জীবন আপনাকে মিস করবো আপুনি। আপনার কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। আপুনি, আমি স্বর্গ দেখিনি। তবে আপনাকে পেয়ে স্বর্গকে আমি পেয়েছি, যা আজ আমি হারিয়ে ফেলেছি। প্রতিদিন কিছুটা হলেও ভালো কাজ করার চেষ্টা করি আপনার আত্মার শান্তি কামনা করে।

    আপনার হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টে বহাল থেকে দ্রুত যেমন কার্যকর হওয়া চাই তেমনি আপনার মতো লাখো নুসরাতের নিরাপদ ও সুস্থ জীবন কামনা করি। একজন প্রতিবাদীর মৃত্যুতে যেন বিশ্ব লিখে, ‘আমাদের চোখের জল ঝরিয়ে, নুসরাত তুমি কিভাবে চলে গেলে মাটির নিকষ অন্ধকারে?

    গত রাত ছিল পবিত্র শবেবরাতের রাত। আমার বোনের আত্মার শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। এই দুর্যোগময় সময় প্রার্থনা করি স্রষ্ঠার সকল সৃষ্টি ভালো থাকুক… করোনার মহামারি থেকে আল্লাহ বাংলাদেশের মানুষকে নিরাপদে রাখুক।

    আর আজকে আমার আপুর এই বিদায়ের দিনে-বেদনার দিনে দেশবাসী সকলের নিকট আমার আপুর জন্য আন্তরিক দোয়া কামনা করছি ৷মহান আল্লাহ্ যেন আমার আপুর সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে, তাঁর কবরের জীবন ও পরকালের জীবন শান্তিময় করেন। আমীন…।

    উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জন আসামির সবাইকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।

    গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তাঁর মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।

    এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। গত ২৮ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৮৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে। মাত্র ৬১ কার্যদিবসে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। আর মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পিবিআইয়ের লাগে ৩৩ কার্যদিবস।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আজ আবেগঘন এক নুসরাত পোস্ট ফেসবুক ফেসবুকে বছর ভাইয়ের, মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার হত্যাকাণ্ডের
    Related Posts
    ৫ আগস্টের পর স্বপ্ন ভেঙে

    ৫ আগস্টের পর স্বপ্ন ভেঙে গেছে দাবি করে ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ

    July 12, 2025
    ‘আহ, কী নৃশংস দৃশ্য

    ‘আহ, কী নৃশংস দৃশ্য! কী বিভৎস! আমরা মানুষ হবো কবে?’

    July 12, 2025
    খতিবের ওপর হামলা

    খতিবের ওপর হামলা, যুবদল নেতা খুন: প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জামায়াত আমিরের

    July 12, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে

    ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ান মা, জানাল র‍্যাব

    youtube monetization policy

    YouTube’s 2025 Monetization Policy Explained: What Creators Must Do Before July 15

    DG

    অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নয় : র‍্যাব ডিজি

    সৌদি আরবে অনুমতি ছাড়া

    সৌদিতে মাছ ধরার নিয়ম না জানায় বাংলাদেশির করুণ পরিণতি

    apple iphone 17 pro max

    Apple iPhone 17 Pro Max: Major Upgrades, New Design, and Pricing Revealed Ahead of Launch

    grameenphone one

    Grameenphone One: A Bold Leap into Bangladesh’s Digital Future

    baahubali the epic

    Baahubali The Epic: SS Rajamouli’s 10th Anniversary Surprise Combines Two Blockbusters into One Grand Film

    Infinix Hot 60 Pro+ price

    Infinix Hot 60 Pro+ Price in India: Slimmest 5G Phone with Flagship-Level Features Launched

    Archita Phukan

    Archita Phukan’s Old Instagram Post Goes Viral as She Reveals 6-Year Sex Work Past and Future with Kendra Lust

    buck moon

    Buck Moon 2025: Rare Low-Riding July Full Moon Peaks Today With Stunning Celestial Views

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.