বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: আপনি ভাবতে পারেন ওয়াই-ফাই স্লো হলে মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কও সাথে চালু করে দিবেন। এতে হয়তো গতি বাড়তে পারে। কিন্তু বাস্তবে এমনটা সবসময় হয় না। আপনি যদি এমন জায়গায় বর্তমানে অবস্থান করেন যেখানে অনেক মানুষ একসাথে জড়ো হয়েছে তাহলে সিগনাল পেতে সমস্যা হবে। কনসার্ট, খেলার ইভেন্ট, বড় সমাবেশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোক একই স্থানে জমায়েত হয়। তখন নিকটস্থ সেল টাওয়ারে চাপ পড়ে। এতে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স কমে যায়।
আপনি বাসার বাহিরে থাকেন বা ভেতরে থাকেন আপনার এলাকার নিকটস্থ সেল টাওয়ার থেকে আপনি দূরে অবস্থান করলেও ইন্টারনেট গতির সমস্যা হতে পারে। আবহাওয়া প্রতিকূল অবস্থায় থাকলে একই কথা প্রযোজ্য। আপনি যদি এমন জায়গায় ভ্রমণে যান যেখানে 5G কভারেজ নেই, এমনকি 4G নেটওয়ার্ক পাওয়াও মুশকিল তাহলে আপনার মোবাইল 5G সাপোর্ট করলেও 3G ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন। তখন ইন্টারনেটের গতি অবশ্যই কমে যাবে। আপনি নিশ্চিত করুন দেশের সেরা মোবাইল অপারেটর ব্যবহার করতে যেনো যেকোন পরিস্থিতিতে ভালো ইন্টারনেট সেবা পেতে পারেন।
আপনার ফোন যদি ধীরগতির হয় তাহলে ওয়াই-ফাই ও সিম নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হলেও সুবিধা পাবেন না। আপনার হ্যান্ডসেট তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। এখন অ্যাপস, ওয়েবসাইট, অনলাইন গেমস সবকিছু সামাল দিতে অনেক রিসোর্স দরকার হয়। র্যাম, প্রসেসর অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।
এমন অবস্থায় আপনি ভালো মানের স্মার্টফোন ব্যবহার না করলে সুবিধা পাবেন না। আপনি যদি অনেক বেশি অ্যাপস ব্যবহার করেন ও অনেক অ্যাপস একসাথে কাজ করছে ও ব্যাকগ্রাউন্ডে সিনক্রোনাইজেশন ও ডাউনলোড করতে হচ্ছে তাহলে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।তাহলে আপনি জেনে গেলেন ইন্টারনেট ধীরগতির হওয়ার পেছনে বেশকিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। তবে বেশিরভাগ সমস্যাই সমাধান যোগ্য। আর কিছু বিষয় আপনার নাগালের বাহিরে থাকবে।
AMD RX 6400 গ্রাফিক্সস কার্ড গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পারবে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।