নেপালে জেন-জি আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি সরকারের পতনের পর দেশটি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকার কারণে দেশটিতে এক বাংলাদেশি পরিবার মারধর ও লুটের শিকার হয়েছে।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল বুধবার ১৬ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, সকালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ জন এবং শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ছয়জনকে উদ্ধার করে বিমানের নির্ধারিত হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একজন বাংলাদেশি মেয়ের ব্যাগ, পাসপোর্ট ও কাপড় পুড়ে যায়, যখন এক ট্যুরিস্ট বাস বিক্ষোভকারীদের হাত ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রান্ত পরিবারটি হায়াত হোটেলে অবস্থান করছিল; বিক্ষোভকারীরা তাদের রুমে ঢুকে জিনিসপত্র লুট ও মারধর করে। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং অন্য হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে। পরে দূতাবাস তাদের উদ্ধার করে রাষ্ট্রদূতের বাসায় নিয়ে আসে।
বর্তমানে নেপালে থাকা ৩৬ সদস্যের জাতীয় ফুটবল দল ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের ৫১ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে অবস্থান করছে। তাদের সব কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে, যাতে ফুটবল দলকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে।
প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি পর্যটক ও ৫০ জন কর্মরত বাংলাদেশি (এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থা) বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যতক্ষণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে না, দূতাবাস সক্রিয়ভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশিরা লক্ষ্যবস্তু হয়নি এবং নেপালের জনগণের কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে হোটেলে ঢুকলেও বাংলাদেশিদের কোনো ক্ষতি করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।